ডা. এ কে এম শাহিদুর রহমান
দেশে ১৫ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় দুই কোটি মানুষ কোনো না কোনো কিডনি রোগে ভুগছেন। ধীরগতির কিডনি অকেজো (Chronic kidney disease) রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে, যা অদূর ভবিষ্যতে মহামারির রূপ নিতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। নীরব ঘাতক এই রোগের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে ডায়াবেটিস অন্যতম । দেশে ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। দেশে প্রায় ৭৫ লাখ লোক ডায়াবেটিস রোগে ভুগছেন। এই ডায়াবেটিক রোগীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক রোগী আবার ডায়াবেটিসের বিভিন্ন জটিলতায় আক্রান্ত। ডায়াবেটিসের জটিলতাগুলোর মধ্যে কিডনির জটিলতাকে ডায়াবেটিসজনিত কিডনি রোগ বা ডায়াবেটিক নেফ্রোপ্যাথি (Diabetic Nephropathy) বলা হয়।
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সাত থেকে দশ বছর পর ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ডায়াবেটিক রোগী কিডনির জটিলতায় আক্রান্ত হন। ডায়াবেটিক রোগীদের মধ্যে যাঁদের ডায়াবেটিস ভালো নিয়ন্ত্রণে থাকে না এবং একই সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ থাকে সাধারণত তাঁরাই ডায়াবেটিসজনিত কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন।
সব ডায়াবেটিক রোগীরই ডায়াবেটিসজনিত কিডনি রোগ (Diabetic Nephropathy) হবে_এমনটা নয়। দেখা যায়, ইনসুলিন নির্ভরশীল ডায়াবেটিক রোগীদের বেলায় এই রোগের হার ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ। আর যাঁরা ইনসুলিন নির্ভরশীল ডায়াবেটিকের রোগী নন, তাঁদের বেলায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ। এ ছাড়া পারিপাশ্বর্িক পরিবেশের প্রভাব এবং বংশগত প্রভাবও কখনো কখনো নিয়ন্ত্রণ করে থাকে কোন ডায়াবেটিক রোগীর ডায়াবেটিসজনিত কিডনি রোগ হবে এবং কাদের হবে না। এ বিষয়টি এখনো গবেষণার পর্যায়ে রয়েছে। তবে ডায়াবেটিসজনিত কিডনি রোগের কিছু ঝুঁকি চিহ্নিত করা হয়েছে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না রাখা
- দীর্ঘদিন ডায়াবেটিসে ভোগা
- ডায়াবেটিসের অন্য কোনো জটিলতার উপস্থিতি
- উচ্চ রক্তচাপ
- ডায়াবেটিসজনিত কিডনি রোগের পারিবারিক ইতিহাস থাকা
- উচ্চ রক্তচাপের পারিবারিক ইতিহাস থাকা
- জাতিগত প্রভেদ
সাধারণত ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সাত থেকে ১০ বছরের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগীর প্রস্রাবে অ্যালবুমিন প্রোটিনের (অষনঁসরহ) উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। তবে ১০-১৫ বছরের মধ্যে প্রস্রাবে এই প্রোটিনের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়, রোগের এই পর্যায়টিকে নেফ্রোটিক সিনড্রোম বলা হয়। এই সময়ে রোগীর শরীরে পানি জমতে শুরু করে। পরবর্তী পর্যায়ে অর্থাৎ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ১৫-২০ বছরের মধ্যে কিডনির কার্যক্ষমতা ক্রমে হ্রাস পেতে থাকে এবং রোগী ধীরগতির কিডনি রোগে আক্রান্ত হন। একসময় কিডনির কার্যক্ষমতা সম্পূর্ণ লোপ পেয়ে রোগী স্থায়ী কিডনি বিকল রোগে ভুগে থাকেন।
প্রতিরোধে যা করতে পারেন
ডায়াবেটিক রোগীদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকলে এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা গেলে ডায়াবেটিসের এই জটিলতা তথা ডায়াবেটিসজনিত কিডনি রোগ থেকে মুক্ত থাকা যায়। তাই
- ডায়াবেটিস পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখুন
- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন
- নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন
- ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন
- ডায়াবেটিসের খাদ্যতালিকা পুরোপুরি মেনে চলুন
- সব ধরনের চর্বিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন
- কায়িক পরিশ্রম করুন অথবা প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন
- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
- বছরে অন্তত একবার কিডনির কার্যকারিতা পরীক্ষা করুন।
ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সাত থেকে দশ বছর পর ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ডায়াবেটিক রোগী কিডনির জটিলতায় আক্রান্ত হন। ডায়াবেটিক রোগীদের মধ্যে যাঁদের ডায়াবেটিস ভালো নিয়ন্ত্রণে থাকে না এবং একই সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ থাকে সাধারণত তাঁরাই ডায়াবেটিসজনিত কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন।
সব ডায়াবেটিক রোগীরই ডায়াবেটিসজনিত কিডনি রোগ (Diabetic Nephropathy) হবে_এমনটা নয়। দেখা যায়, ইনসুলিন নির্ভরশীল ডায়াবেটিক রোগীদের বেলায় এই রোগের হার ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ। আর যাঁরা ইনসুলিন নির্ভরশীল ডায়াবেটিকের রোগী নন, তাঁদের বেলায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ। এ ছাড়া পারিপাশ্বর্িক পরিবেশের প্রভাব এবং বংশগত প্রভাবও কখনো কখনো নিয়ন্ত্রণ করে থাকে কোন ডায়াবেটিক রোগীর ডায়াবেটিসজনিত কিডনি রোগ হবে এবং কাদের হবে না। এ বিষয়টি এখনো গবেষণার পর্যায়ে রয়েছে। তবে ডায়াবেটিসজনিত কিডনি রোগের কিছু ঝুঁকি চিহ্নিত করা হয়েছে।
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না রাখা
- দীর্ঘদিন ডায়াবেটিসে ভোগা
- ডায়াবেটিসের অন্য কোনো জটিলতার উপস্থিতি
- উচ্চ রক্তচাপ
- ডায়াবেটিসজনিত কিডনি রোগের পারিবারিক ইতিহাস থাকা
- উচ্চ রক্তচাপের পারিবারিক ইতিহাস থাকা
- জাতিগত প্রভেদ
সাধারণত ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সাত থেকে ১০ বছরের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগীর প্রস্রাবে অ্যালবুমিন প্রোটিনের (অষনঁসরহ) উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। তবে ১০-১৫ বছরের মধ্যে প্রস্রাবে এই প্রোটিনের পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়, রোগের এই পর্যায়টিকে নেফ্রোটিক সিনড্রোম বলা হয়। এই সময়ে রোগীর শরীরে পানি জমতে শুরু করে। পরবর্তী পর্যায়ে অর্থাৎ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ১৫-২০ বছরের মধ্যে কিডনির কার্যক্ষমতা ক্রমে হ্রাস পেতে থাকে এবং রোগী ধীরগতির কিডনি রোগে আক্রান্ত হন। একসময় কিডনির কার্যক্ষমতা সম্পূর্ণ লোপ পেয়ে রোগী স্থায়ী কিডনি বিকল রোগে ভুগে থাকেন।
প্রতিরোধে যা করতে পারেন
ডায়াবেটিক রোগীদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকলে এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা গেলে ডায়াবেটিসের এই জটিলতা তথা ডায়াবেটিসজনিত কিডনি রোগ থেকে মুক্ত থাকা যায়। তাই
- ডায়াবেটিস পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখুন
- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন
- নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন
- ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন
- ডায়াবেটিসের খাদ্যতালিকা পুরোপুরি মেনে চলুন
- সব ধরনের চর্বিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন
- কায়িক পরিশ্রম করুন অথবা প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন
- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
- বছরে অন্তত একবার কিডনির কার্যকারিতা পরীক্ষা করুন।
লেখক : এমও
কিডনি রোগ বিভাগ (নেফ্রোলজি)
বিএসএমএমইউ, শাহবাগ, ঢাকা।
কিডনি রোগ বিভাগ (নেফ্রোলজি)
বিএসএমএমইউ, শাহবাগ, ঢাকা।
No comments:
Post a Comment