ডা. মোঃ ফারুক হোসেন
আমাদের দেহে স্বাভাবিক প্রাকৃতিক নিয়মেই রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বিদ্যমান। ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ত্র“টিমুক্ত থাকলে কারও কখনই কোন অসুখ হতো না। অনেকে বলে থাকেন ইমিউনোগ্লোবিউলিন ‘এ’-এর অভাব হলে দন্তক্ষয় হয়। এ ধরনের সুনির্দিষ্ট কোন তথ্যপ্রমাণ আজও পাওয়া যায়নি। পেরিওডন্টাল রোগের কারণ ওমঅ-এর অভাবেরও কোন সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই। ইমিউনোগ্লোবিউলিন ‘এ’ লাগাতে নিঃসরিত হওয়ার কারণে অনেকেই মনে করেন মুখের রোগের সঙ্গে ওমঅ-এর কার্যকর ভূমিকা রয়েছে। ওমঅ ছাড়া অন্য কোন ইমিউনোগ্লোবিউলিন লালাতে নিঃসরণ হয় না।
তবে মাঝে মাঝে ইমিউনোগ্লোবিউলিন ‘এ’-এর অভাব হলে মুখে ঘা ও হারপিস ল্যাবিয়ালিস হতে পারে এবং ওপরের শ্বাসনালীর সংক্রমণ দেখা দিতে পারে; মারাÍক কোন ঘাটতি বা সমস্যা থাকলে বারবার ওপরের শ্বাসনালীর সংক্রমণ দেখা দেবে। যেসব রোগীর মুখে সংক্রমণজনিত রোগ বা অন্য যে কোন রোগ বারবার দেখা যায় তাদের ক্ষেত্রে রক্তে ইমিউনোগ্লোবিউলিন ‘এ’-এর পরিমাণ অবশ্যই দেখে নেয়া ভালো। গ্যানোডার্মা লুসিডাম প্রজাতির মাশরুমের বয়স যখন ৯০ দিন হয়, তখন ওই মাশরুম প্রক্রিয়াজাত করে সম্পূরক খাবার প্রস্তুত করলে তার মাঝে ইমিউনোগ্লোবিউলিন ‘এ’ অবশ্যই পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে মুখের জটিল রোগীদের ওষুধের পাশাপাশি সম্পূরক খাবার হিসেবে গ্যানোডার্মা লুসিডাম প্রজাতির মাশরুম দেয়া যেতে পারে। তবে এর পরিমাণ রোগের উপসর্গ অনুযায়ী প্রদান করতে হবে।
মুখের ঘা, জ্বালাপোড়া, কোন কিছু খেতে ঝাললাগা অথবা দীর্ঘমেয়াদি মুখের কোন রোগ নির্ণয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমাদের দেশে দুঃখজনক হলেও সত্য, রোগ নির্ণয় না করে অহেতুক রোগীদের ভিটামিন ও মাউথওয়াশ প্রদান করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া মুখের রোগ নির্ণয় অভিজ্ঞতার আলোকে সম্পন্ন করতে হয়। রোগীদের একটি কথা মনে রাখতে হবে বিনা কারণে ওষুধের দোকান থেকে রিবোফ্লাভিন বা ভিটামিন বি-২ ট্যাবলেট কিনে তা সেবন করার কোন মানে হয় না। তাই মুখের রোগে আরও সচেতন হতে হবে এবং মুখের যথাযথ যতœ নিতে হবে।
লেখক : মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ
আমাদের দেহে স্বাভাবিক প্রাকৃতিক নিয়মেই রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বিদ্যমান। ইমিউন সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ত্র“টিমুক্ত থাকলে কারও কখনই কোন অসুখ হতো না। অনেকে বলে থাকেন ইমিউনোগ্লোবিউলিন ‘এ’-এর অভাব হলে দন্তক্ষয় হয়। এ ধরনের সুনির্দিষ্ট কোন তথ্যপ্রমাণ আজও পাওয়া যায়নি। পেরিওডন্টাল রোগের কারণ ওমঅ-এর অভাবেরও কোন সুনির্দিষ্ট প্রমাণ নেই। ইমিউনোগ্লোবিউলিন ‘এ’ লাগাতে নিঃসরিত হওয়ার কারণে অনেকেই মনে করেন মুখের রোগের সঙ্গে ওমঅ-এর কার্যকর ভূমিকা রয়েছে। ওমঅ ছাড়া অন্য কোন ইমিউনোগ্লোবিউলিন লালাতে নিঃসরণ হয় না।
তবে মাঝে মাঝে ইমিউনোগ্লোবিউলিন ‘এ’-এর অভাব হলে মুখে ঘা ও হারপিস ল্যাবিয়ালিস হতে পারে এবং ওপরের শ্বাসনালীর সংক্রমণ দেখা দিতে পারে; মারাÍক কোন ঘাটতি বা সমস্যা থাকলে বারবার ওপরের শ্বাসনালীর সংক্রমণ দেখা দেবে। যেসব রোগীর মুখে সংক্রমণজনিত রোগ বা অন্য যে কোন রোগ বারবার দেখা যায় তাদের ক্ষেত্রে রক্তে ইমিউনোগ্লোবিউলিন ‘এ’-এর পরিমাণ অবশ্যই দেখে নেয়া ভালো। গ্যানোডার্মা লুসিডাম প্রজাতির মাশরুমের বয়স যখন ৯০ দিন হয়, তখন ওই মাশরুম প্রক্রিয়াজাত করে সম্পূরক খাবার প্রস্তুত করলে তার মাঝে ইমিউনোগ্লোবিউলিন ‘এ’ অবশ্যই পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে মুখের জটিল রোগীদের ওষুধের পাশাপাশি সম্পূরক খাবার হিসেবে গ্যানোডার্মা লুসিডাম প্রজাতির মাশরুম দেয়া যেতে পারে। তবে এর পরিমাণ রোগের উপসর্গ অনুযায়ী প্রদান করতে হবে।
মুখের ঘা, জ্বালাপোড়া, কোন কিছু খেতে ঝাললাগা অথবা দীর্ঘমেয়াদি মুখের কোন রোগ নির্ণয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমাদের দেশে দুঃখজনক হলেও সত্য, রোগ নির্ণয় না করে অহেতুক রোগীদের ভিটামিন ও মাউথওয়াশ প্রদান করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া মুখের রোগ নির্ণয় অভিজ্ঞতার আলোকে সম্পন্ন করতে হয়। রোগীদের একটি কথা মনে রাখতে হবে বিনা কারণে ওষুধের দোকান থেকে রিবোফ্লাভিন বা ভিটামিন বি-২ ট্যাবলেট কিনে তা সেবন করার কোন মানে হয় না। তাই মুখের রোগে আরও সচেতন হতে হবে এবং মুখের যথাযথ যতœ নিতে হবে।
লেখক : মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ
No comments:
Post a Comment