ডা. মনোয়ারা বেগম
আমাদের দেশের নারীরা অনেক সময় জরায়ুর সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে থাকেন। কোনো কোনো সময় জরায়ু অপসারণেরও প্রয়োজন হয়। বিভিন্ন কারণে জরায়ু অপসারণ করতে হয়, যেমন জরায়ুতে টিউমার, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, ক্যান্সার, তলপেটে ইনফেকশন ইত্যাদি। বর্তমানে দুটি পদ্ধতিতে অপারেশন করা হয়। পেট কেটে অথবা পেট না কেটে। পেট কেটে অপারেশনকে আমরা বলে থাকি অ্যাবডোমিনাল হিস্টেরেকটমি, যা রোগীদের কাছে হিস্টেরেকটমি নামে পরিচিত। আর পেট না কেটে শুধু তিন থেকে চারটি ছিদ্র (৫ মি.মি.) করে যে সার্জারি করা হয় তাকে বলা হয় ল্যাপারোস্কোপিক হিস্টেরেকটমি। ল্যাপারোস্কোপিক হিস্টেরেকটমিতে ক্যামেরার মাধ্যমে স্বাভাবিকের চেয়ে ২০ গুণ বড় স্ক্রিনে দেখে এবং হারমোনিক স্ক্যালপেল ব্যবহারের মাধ্যমে সার্জারি করা হয়।
অ্যাবডোমিনাল হিস্টেরেকটমি সার্জারিতে পেট কেটে সার্জারি করতে হয়। এতে পেটে ব্যথা অনুভূত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। পেটের ওপর বড় ক্ষত চিহ্নও অনেক সময় থেকে যায়। অপারেশনটি ছোট নয়, তাই স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরে যেতে বেশি সময় লাগে। এ ছাড়া হাসপাতালেও বেশি দিন থাকতে হয়। কিন্তু ল্যাপারোস্কোপিক হিস্টেরেকটমিতে রোগীকে হাসপাতালে মাত্র দুদিন থাকতে হয় এবং ছয় থেকে সাত দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরে যেতে পারে।
ল্যাপারোস্কোপিক হিস্টেরেকটমি আবার দুভাবে করা হয়। একটি হলো ল্যাপারোস্কোপিক অ্যাসিস্টেড হিস্টেরেকটমি এবং অন্যটি টোটাল ল্যাপারোস্কোপিক হিস্টেরেকটমি। ল্যাপারোস্কোপিক অ্যাসিস্টেড হিস্টেরেকটমির কিছু ধাপ ল্যাপারোস্কোপির মাধ্যমে করা হয়। ফলে রোগী অপারেশনের পর টোটাল ল্যাপারোস্কোপিক হিস্টেরেকটমির তুলনায় বেশি ব্যথা অনুভব করে এবং কিছু শারীরিক ঝুঁকির মধ্যে থাকে। এ ছাড়া পেটের মধ্যে যদি এডহেশন বা অঙ্গগুলো প্রদাহের কারণে জোড়া লাগানো থাকে তখন ল্যাপারোস্কোপিক অ্যাসিস্টেড হিস্টেরেকটমি করা সম্ভব হয় না। কিন্তু টোটাল ল্যাপারোস্কোপিক হিস্টেরেকটমির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ সার্জারিই ল্যাপারোস্কোপির মাধ্যমে করা যায়। এমনকি এডহেশন থাকলেও তা ছাড়িয়ে হিস্টেরেকটমি করা সম্ভব হয়। এই অপারেশন পদ্ধতিতে রোগী ব্যথা অনুভব করে না বললেই চলে। এ পদ্ধতিতে রক্তক্ষরণও ল্যাপারোস্কোপিক অ্যাসিস্টেড হিস্টেরেকটমির তুলনায় অনেক কম হয়।
লেখক : সমন্বয়কারী এবং
উর্ধ্বতন পরামর্শক
গাইনোকলজি এন্ডোস্কোপিক সার্জন
অবস্টেট্রিকস ও গাইনি বিভাগ
এ্যাপোলো হসপিটালস, ঢাকা
অ্যাবডোমিনাল হিস্টেরেকটমি সার্জারিতে পেট কেটে সার্জারি করতে হয়। এতে পেটে ব্যথা অনুভূত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। পেটের ওপর বড় ক্ষত চিহ্নও অনেক সময় থেকে যায়। অপারেশনটি ছোট নয়, তাই স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরে যেতে বেশি সময় লাগে। এ ছাড়া হাসপাতালেও বেশি দিন থাকতে হয়। কিন্তু ল্যাপারোস্কোপিক হিস্টেরেকটমিতে রোগীকে হাসপাতালে মাত্র দুদিন থাকতে হয় এবং ছয় থেকে সাত দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরে যেতে পারে।
ল্যাপারোস্কোপিক হিস্টেরেকটমি আবার দুভাবে করা হয়। একটি হলো ল্যাপারোস্কোপিক অ্যাসিস্টেড হিস্টেরেকটমি এবং অন্যটি টোটাল ল্যাপারোস্কোপিক হিস্টেরেকটমি। ল্যাপারোস্কোপিক অ্যাসিস্টেড হিস্টেরেকটমির কিছু ধাপ ল্যাপারোস্কোপির মাধ্যমে করা হয়। ফলে রোগী অপারেশনের পর টোটাল ল্যাপারোস্কোপিক হিস্টেরেকটমির তুলনায় বেশি ব্যথা অনুভব করে এবং কিছু শারীরিক ঝুঁকির মধ্যে থাকে। এ ছাড়া পেটের মধ্যে যদি এডহেশন বা অঙ্গগুলো প্রদাহের কারণে জোড়া লাগানো থাকে তখন ল্যাপারোস্কোপিক অ্যাসিস্টেড হিস্টেরেকটমি করা সম্ভব হয় না। কিন্তু টোটাল ল্যাপারোস্কোপিক হিস্টেরেকটমির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ সার্জারিই ল্যাপারোস্কোপির মাধ্যমে করা যায়। এমনকি এডহেশন থাকলেও তা ছাড়িয়ে হিস্টেরেকটমি করা সম্ভব হয়। এই অপারেশন পদ্ধতিতে রোগী ব্যথা অনুভব করে না বললেই চলে। এ পদ্ধতিতে রক্তক্ষরণও ল্যাপারোস্কোপিক অ্যাসিস্টেড হিস্টেরেকটমির তুলনায় অনেক কম হয়।
লেখক : সমন্বয়কারী এবং
উর্ধ্বতন পরামর্শক
গাইনোকলজি এন্ডোস্কোপিক সার্জন
অবস্টেট্রিকস ও গাইনি বিভাগ
এ্যাপোলো হসপিটালস, ঢাকা
No comments:
Post a Comment