আজ কাল অনেক রোগী পাই যারা চির তরুণ থাকতে চান। ধরে রাখতে চান বয়সের গতি। কিন্তু সৃষ্টির অমোঘ বিধান লংঘন করার কোন সুযোগ নেই। বিজ্ঞানওএখানে অসহায়। তবে বয়সের গতি নামিয়ে দিতে না পারলেও আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান মানুষের জীবনকে কর্মঠ ও অ্যাকটিভ রাখার নানা প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।অনেক ক্ষেত্রে সফলও হচ্ছে। তাই কিভাবে শরীরকে সুস্থ, সবল ও অ্যাকটিভ রাখবেন তাই নিয়ে আজকের এই লেখা।
সুস্থ সবল এ্যাকটিভ জীবনের জন্য করণীয় :-
এক :অন্যতম দরকার হচ্ছে নিয়মানুবর্তিতা ও শৃংখলা। তরুণ বয়স থেকেই এই শৃংখলার চর্চা করতে হবে এবং ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে হবে। কোন ভাবেইনিজের ওপর অত্যাচার করা যাবেনা। পাশাপাশি ভ্রান্ত ধারণা ও কুসংস্কার পরিহার করতে হবে। বিনা প্রয়োজনে কোন ধরনের অপচিকিৎসা নেয়া যাবেনা।
দুই : যথাসম্ভব চর্বি জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে অথবা চর্বি জাতীয় খাবার কম আহার করতে হবে। পাশাপাশি সুষম খাবার যেমন; প্রচুর শাক সবজি, প্রয়োজন মত মাছ-মাংস, ডিম ও প্রচুর ফল খেতে হবে। এছাড়া প্রতিদিন ৮-১০ গস্নাস বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। পাশাপাশি কোন ধরণের ফাস্টফুড, তেলেভাজা খাবার ও সফট ড্রিংস খাওয়া চলবেনা।
তিন : প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে। প্রতিদিন না হলেও অন্তত: সপ্তাহে ৫ দিন ব্যায়াম যেমন, হাটাচলা, জাগিং, সুইমিং করতে হবে। মনেরাখতে হবে ব্যায়াম শরীরের রক্তচলাচল স্বাভাবিক রাখে এবং অনেক ক্ষেত্রে শারীরিক সবলতার জন্য রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখা প্রয়োজন।
চার : মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। মানসিক চাপ, হতাশা থেকে শারীরিক সামর্থ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মানসিক চাপ কমানোর জন্য ওষুধ নির্ভরতা কমিয়ে যে কারণেমানসিক চাপ পরিলক্ষিত হচ্ছে তা নিরসনে সচেষ্ট হতে হবে। নিজের যা আছে তাই নিয়েই সুখী থাকতে চেষ্টা করুন। বিবাহিত হলে দাম্পত্য জীবন আনন্দময় করারচেষ্টা করুন। প্রয়োজনে সংশিস্নষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
পাঁচ : ত্বক সুন্দর রাখার চেষ্টা করুন। কারণ সর্ব প্রথম বয়সের ছাপ ত্বকে পড়ে। তাই ত্বক সুন্দর ও মসৃন রাখতে ত্বকের পরিচর্যা করুন। ভালো ক্লিনজার ব্যবহারকরুন, ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন এবং রোদে যাবার আগে যে কোন হালকা সানবস্নক ব্যবহার করুন। ত্বক ভালো রাখতে প্রচুর সবজি ফল ও পানি পান করুন।
ছয় : প্রতিদিন নিদিষ্ট সময়ে ঘুমাতে চেষ্টা করুন এবং প্রতু্যষে ঘুম থেকে উঠে যার যার ধর্মমতে প্রার্থনা করুন। ইয়োগা, মেডিটেশনও করতে পারেন। অন্যের কোনঅনিষ্ট যাতে আপনার কর্ম-আচার-আচরণে না ঘটে তার প্রতি সতর্ক থাকবেন। পরিবারের সদস্যদেরও সেই নিয়মানুবর্তিতার শিক্ষায় উজ্জীবীত করুন।
সাত : ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, কোলেস্টেরল, অতিরিক্ত ওজন, থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে চিকিৎসা করুন এবং ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।লবণ কম খান।
আট :ধূমপান একেবারেই পরিহার করুন। ধূমপান শারীরিক সামর্থ নষ্ট করে, ত্বক ও মনের তারুণ্য কমিয়ে দেয় এবং হূদরোগসহ নানা শারীরিক জটিলতা সৃষ্টি করে।তাই ধূমপান একেবারেই নয়। পাশাপাশি মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান পরিহার করুন।
নয় : সব সময় পজিটিভ চিন্তা করুন এবং যে কোন সমস্যা মনের জোর দিয়ে জয় করার চেষ্টা করুন। এমনকি দাম্পত্য সমস্যাও মানসিক শক্তি দিয়ে জয় করা যায়, ওষুধের প্রয়োজন নেই।
দশ : নিজের অনেক কঠিন সমস্যা নিজের মধ্যে না রেখে আপনজন বা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেয়ার করুন। প্রয়োজনে উপযুক্ত কাউন্সিলিং-এর জন্য সংশিস্নষ্টকোন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
হডা : মোড়ল নজরুল ইসলাম
চুলপড়া , চর্মরোগ ও এলার্জি এবং
যৌন সমস্যা বিশেষজ্ঞ
কন্স্যালট্যান্ট ডার্মাটোলজিস্ট
ইউনাইটেড হাসপাতাল, গুলশান, ঢাকা
No comments:
Post a Comment