এখন শীতের মৌসুমে বেশ কিছু ফল বাজারে দেখা যাচ্ছে। এ সমস্ত ফলগুলো বেশ পুষ্টিসমৃদ্ধ। ফলগুলো হলো আমড়া,
পেয়ারা, কুল বা বরই,
কদবেল, জলপাই, আমলকি ইত্যাদি। তাজা ফলে পানি ও শর্করায় প্রাধান্য বেশি থাকে। সেই সঙ্গে ভিটামিন,
খণিজ লবণও মিশ্রিত থাকে।
আমড়া: আমড়া ভিটামিন সি সমৃদ্ধ টক জাতীয় ফল। এটি খেতে বেশ সুস্বাদু। দেহের ত্বকের সৌন্দর্য্য রক্ষায় এবং চুলের জন্য এই ফল বেশ উপকারী। ১০০ গ্রাম আমড়াতে আছে ৬৬ ক্যালোরি, ২৫ গ্রাম শর্করা, ৫৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৩.৯ মিলিগ্রাম লৌহ এবং ভিটামিন সি ৯২ মিলিগ্রাম। আমাদের দেশে বরিশাল জেলার আমড়া বিখ্যাত। এগুলো আকারে বড় ও টক মিষ্টি স্বাদের। পথে ঘাটে ফুলের মত কেটে কাঠির আগায় গেঁথে লবণ ও মরিচ ছিটিয়ে আমড়া বিক্রি করা হয়। পরিবেশনার গুণে এটি পথচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তবে পরিষ্কার ও বিশুদ্ধ পানি দিয়ে ধোয়া আমড়া খাওয়া উচিত।
জলপাই: জলপাই শতীকালীন ফল। স্বাদে বেশ টক। এজন্য আচার হিসাবেই জলপাই বেশি খাওয়া হয়। জলপাইয়ের তেল হূদরোগীদের জন্য খুবই উপকারী। এটি অসম্পৃক্ত চর্বির ভাল উৎস। এই তেল ত্বককে সুন্দর ও মসৃণ রাখে। ১০০ গ্রাম জলপাইয়ে রয়েছে ৭০ ক্যালরি, ১৬.২ গ্রাম শর্করা, ৩.১ মিলিগ্রাম লৌহ এবং ৩৯ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি।
পেয়ারা: পেয়ারাকে আপেলের চাইতে শ্রেষ্ট বলা হয়। কারণ এতে আপেলের চাইতে ৫০ গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে। তবে লৌহের মাত্রা একই। বিভিন্ন জাতের বিভিন্ন আকৃতি ও স্বাদের পেয়ারা আমাদের দেশে পাওয়া যায়। পেয়ারা ফল হিসাবে খাওয়া ছাড়াও এটি দিয়ে সুস্বাদু জেলী প্রস্তুত করা হয়। জেলী ক্যালোরিগুণ, সহজপাপ্য খাবার। ১০০ গ্রাম পেয়ারায় আছে ৫১ ক্যালরি, ১১.২ গ্রাম শর্করা, ১৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১.৪ মিলিগ্রাম লৌহ, ১০০ আই ইউ ক্যারোটিন ও ভিটামিন সি ২১০ মিলিগ্রাম।
কুল বা বরই: এখন বাজারে দু'তিন ধরণের কুল বা বরই পাওয়া যাচ্ছে। এই ফলটি টক-মিষ্টি স্বাদের এবং কিছুটা কষযুক্ত। বরই ছোট বড় যেমনই হউক এটি খাদ্যগুণে বেশ সমৃদ্ধ। স্কুলগেটে বরই এর আচার ছেলে-মেয়েদের একটি আকর্ষণীয় খাবার। ১০০ গ্রাম বরইয়ে আছে ১০৪ ক্যালরি, ২৩.৮ গ্রাম শর্করা, ১১ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম। ভিটামিন সি ৫১ মিলিগ্রাম। বডকুল কৃষি প্রযুক্তির একটি উন্নত মানের বরই। এটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
কদবেল: পাকা কদবেল লবণ ও মরিচ দিয়ে মেখে ভর্তা করে খাওয়া হয়। ব্রণ ও মেছতায় কাঁচা কদবেলের রস মুখে মাখলে বেশ উপকার পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম কদবেলে আছে ৫৯ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.৬ মিলিগ্রাম লৌহ, ভিটামিন সি ১৩ মিলিগ্রাম এবং ক্যালরি ৪৯।
আমাদের দেশের মৌসুমী ফলগুলো স্বাদে যেমন ভালো তেমনি পুষ্টিগত দিক থেকে কম নয়। সুতরাং আমদানীকৃত বিদেশী ফলের দিকে না ঝুঁকে এ ধরণের দেশী ফল প্রতিদিনই আমাদের খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত।
আখতারুন নাহার আলো, প্রধান পুষ্টি কর্মকর্তা, বারডেম হাসপাতাল
আমড়া: আমড়া ভিটামিন সি সমৃদ্ধ টক জাতীয় ফল। এটি খেতে বেশ সুস্বাদু। দেহের ত্বকের সৌন্দর্য্য রক্ষায় এবং চুলের জন্য এই ফল বেশ উপকারী। ১০০ গ্রাম আমড়াতে আছে ৬৬ ক্যালোরি, ২৫ গ্রাম শর্করা, ৫৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ৩.৯ মিলিগ্রাম লৌহ এবং ভিটামিন সি ৯২ মিলিগ্রাম। আমাদের দেশে বরিশাল জেলার আমড়া বিখ্যাত। এগুলো আকারে বড় ও টক মিষ্টি স্বাদের। পথে ঘাটে ফুলের মত কেটে কাঠির আগায় গেঁথে লবণ ও মরিচ ছিটিয়ে আমড়া বিক্রি করা হয়। পরিবেশনার গুণে এটি পথচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তবে পরিষ্কার ও বিশুদ্ধ পানি দিয়ে ধোয়া আমড়া খাওয়া উচিত।
জলপাই: জলপাই শতীকালীন ফল। স্বাদে বেশ টক। এজন্য আচার হিসাবেই জলপাই বেশি খাওয়া হয়। জলপাইয়ের তেল হূদরোগীদের জন্য খুবই উপকারী। এটি অসম্পৃক্ত চর্বির ভাল উৎস। এই তেল ত্বককে সুন্দর ও মসৃণ রাখে। ১০০ গ্রাম জলপাইয়ে রয়েছে ৭০ ক্যালরি, ১৬.২ গ্রাম শর্করা, ৩.১ মিলিগ্রাম লৌহ এবং ৩৯ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি।
পেয়ারা: পেয়ারাকে আপেলের চাইতে শ্রেষ্ট বলা হয়। কারণ এতে আপেলের চাইতে ৫০ গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে। তবে লৌহের মাত্রা একই। বিভিন্ন জাতের বিভিন্ন আকৃতি ও স্বাদের পেয়ারা আমাদের দেশে পাওয়া যায়। পেয়ারা ফল হিসাবে খাওয়া ছাড়াও এটি দিয়ে সুস্বাদু জেলী প্রস্তুত করা হয়। জেলী ক্যালোরিগুণ, সহজপাপ্য খাবার। ১০০ গ্রাম পেয়ারায় আছে ৫১ ক্যালরি, ১১.২ গ্রাম শর্করা, ১৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১.৪ মিলিগ্রাম লৌহ, ১০০ আই ইউ ক্যারোটিন ও ভিটামিন সি ২১০ মিলিগ্রাম।
কুল বা বরই: এখন বাজারে দু'তিন ধরণের কুল বা বরই পাওয়া যাচ্ছে। এই ফলটি টক-মিষ্টি স্বাদের এবং কিছুটা কষযুক্ত। বরই ছোট বড় যেমনই হউক এটি খাদ্যগুণে বেশ সমৃদ্ধ। স্কুলগেটে বরই এর আচার ছেলে-মেয়েদের একটি আকর্ষণীয় খাবার। ১০০ গ্রাম বরইয়ে আছে ১০৪ ক্যালরি, ২৩.৮ গ্রাম শর্করা, ১১ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম। ভিটামিন সি ৫১ মিলিগ্রাম। বডকুল কৃষি প্রযুক্তির একটি উন্নত মানের বরই। এটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
কদবেল: পাকা কদবেল লবণ ও মরিচ দিয়ে মেখে ভর্তা করে খাওয়া হয়। ব্রণ ও মেছতায় কাঁচা কদবেলের রস মুখে মাখলে বেশ উপকার পাওয়া যায়। ১০০ গ্রাম কদবেলে আছে ৫৯ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.৬ মিলিগ্রাম লৌহ, ভিটামিন সি ১৩ মিলিগ্রাম এবং ক্যালরি ৪৯।
আমাদের দেশের মৌসুমী ফলগুলো স্বাদে যেমন ভালো তেমনি পুষ্টিগত দিক থেকে কম নয়। সুতরাং আমদানীকৃত বিদেশী ফলের দিকে না ঝুঁকে এ ধরণের দেশী ফল প্রতিদিনই আমাদের খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত।
আখতারুন নাহার আলো, প্রধান পুষ্টি কর্মকর্তা, বারডেম হাসপাতাল
No comments:
Post a Comment