Search This Blog

Tuesday, November 1, 2011

অস্টিওআর্থ্রাইটিসে ফিজিওথেরাপি


মানুষের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অস্থি বা হাড়ের পরিবর্তন ঘটা স্বাভাবিক। তাই অস্থির পরিবর্তনের কারণে ব্যথাও স্বাভাবিক। মানব দেহের যেসব স্থানে ব্যথা হয় তার মধ্যে ঘাড়, কোমর, হাঁটু, কাঁধ, পায়ের গোড়ালি অন্যতম। এসব ব্যথা কম তীব্র, অস্থায়ী বা কম মেয়াদি অথবা দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। ব্যথার তীব্রতা ধরনের সঙ্গে এর নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়াও ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। তবে বর্তমান সময়ে সবাই সচেতন_পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বা খুবই কম এমন চিকিসার প্রতি সবারই আগ্রহ বেশি। তা ছাড়া সেসব রোগী তীব্র বা কম তীব্র দীর্ঘমেয়াদি ব্যথায় ভোগেন অথবা ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ বা বৃক্বের রোগে আক্রান্ত তাদের জন্য দীর্ঘমেয়াদে ব্যথানাশক সেবন ঝুঁকিপূর্ণ বা নিষিদ্ধ। কিন্তু সুস্থ সচল থাকার জন্য সব রোগীরই চিকিসা বেশি জরুরি।
তাই ফিজিওথেরাপি খুবই কার্যকর চিকিসা তাদের জন্য। ফিজিওথেরাপি শরীরের নির্দিষ্ট স্থানে প্রয়োগ করতে হয় বলে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। ফল পাওয়া যায় দ্রুত এবং তা স্থায়ী হয়।
তবে রোগ নিরূপণ ব্যথার ধরন অনুযায়ী বিজ্ঞানসম্মত ফিজিওথেরাপির প্রয়োগ করতে হবে। ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ নন এমন কারো কাছ থেকে ফিজিওথেরাপি বিষয়ক পরামর্শ বা চিকিসা গ্রহণ করলে ভালো ফল না পাওয়াটাই স্বাভাবিক। তাই সঠিক চিকিসা নেওয়ার ভার রোগী রোগীর পরিজনের ওপর। অর্থোপেডিক, হার্ট, কিডনি, চক্ষু, বক্ষব্যাধি, মানসিক প্রভৃতি বিষয়ে চিকিসার জন্য দেশে সরকারি-বেসরকারি বিশেষায়িত হাসপাতাল থাকলেও ফিজিওথেরাপি চিকিসার ক্ষেত্রে তেমনটা নেই। তবে বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকে বিশেষায়িত ফিজিওথেরাপি বিভাগ রয়েছে।
ডা. মোহাম্মদ আলী
কনসালট্যান্ট ফিজিওথেরাপিস্ট।
physiomali@yahoo.com

m~Z&ª: দৈনিক কালেরকন্ঠ(07/05/2011)

No comments:

Post a Comment