টমেটো একই সঙ্গে সবজি ও ফল। রান্নার উপকরণ হিসেবে এবং খাবারের সঙ্গে টমেটো সস বেশ গুরুত্বপূর্ণ। টমেটো আমাদের দেশের একটি প্রধান শীতকালীন সবজি, তবে এখন গ্রীষ্মকালেও টমেটো পাওয়া যায়।
প্রতি ১০০ গ্রাম টমেটোতে এনার্জি ১৮ কিলোক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট ৪ গ্রাম, চিনি ২.৬ গ্রাম, আঁশ ১ গ্রাম, আমিষ ১ গ্রাম, চর্বি ০.২ গ্রাম, পানি ৯৫ গ্রাম, ভিটামিন সি ১৩ মিলিগ্রাম রয়েছে। এ ছাড়া এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও খনিজ মিনারেলসহ অন্যান্য খাদ্য উপাদান রয়েছে।
- টমেটোতে লাইকোপেন নামের উচ্চমাত্রার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ক্যান্সার প্রতিরোধক উপাদান রয়েছে, যা ফুসফুস, পাকস্থলী, অগ্ন্যাশয়, কোলন, স্তন, মূত্রাশয়, প্রোস্টেট ইত্যাদি অঙ্গের ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। ‘ক্যান্সার এপিডেমিওলজি বায়োমার্কার অ্যান্ড প্রিভেনশন’ বলেছে যে নিয়মিত টমেটো খেলে তা প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
- ‘ব্রিটিশ জার্নাল অব নিউট্রিশন’-এর প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, টমেটো আমাদের শরীরের ক্ষতিকর এলডিএল কোলেস্টেরল কমায়। ফলে হƒৎপিণ্ডের ধমনিতে ব্লক প্রতিরোধ করে, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। একই সঙ্গে মুটিয়ে যাওয়া রোধ করে।
- মাইগ্রেনের অ্যাটাক কমায়।
- টমেটোর জুস প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ভূমিকা পালন করে। টিএনএফ-আলফা নামক একটি অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি মার্কার দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন রোগ, যেমন অস্টিওপোরোসিস, ক্যান্সার, আলঝেইমারস অসুখে পাওয়া যায়। প্রতিদিন এক গ্লাস টমেটো জুস পান করলে এক মাসেই এ উপাদান উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পায়।
- টমেটো সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
- টমেটো আংশিক খেলে উপকার পাওয়া যাবে না। আবার টমেটোতে যে অ্যাসিডিক উপাদান রয়েছে, তা অ্যালুমিনিয়াম পাত্রের সঙ্গে বিক্রিয়া করে খাবারে শোষিত হয়ে খাবারের স্বাদ ও গুণ দুটোই নষ্ট করে, কাজেই শুধু টমেটো রান্না হচ্ছে এ রকম ক্ষেত্রে অ্যালুমিনিয়াম পাত্র ব্যবহার না করাই ভালো।
বাজারে যে লাল টকটকে টমেটো পাওয়া যায়, অনেক সময়ই তা কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো হয়। এই কেমিক্যাল শরীরে ক্যান্সারসহ অনেক অসুখ তৈরি করতে পারে। তাই সাবধানতা হিসাবে টকটকে লাল নয়, কাঁচা অথবা কাঁচা-পাকা টমেটো খাওয়া ভালো।
টমেটো রান্না বা কাঁচা যেভাবেই খান-একই উপকার। তবে বেশি সময় নিয়ে রান্না করলে এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হতে পারে।
ডা. জিয়াউল হক
তথ্য সহায়তা : তৃপ্তি চৌধুরী
পুষ্টিবিদ, বিএসএমএমইউ, ঢাকা
- টমেটোতে লাইকোপেন নামের উচ্চমাত্রার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ক্যান্সার প্রতিরোধক উপাদান রয়েছে, যা ফুসফুস, পাকস্থলী, অগ্ন্যাশয়, কোলন, স্তন, মূত্রাশয়, প্রোস্টেট ইত্যাদি অঙ্গের ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। ‘ক্যান্সার এপিডেমিওলজি বায়োমার্কার অ্যান্ড প্রিভেনশন’ বলেছে যে নিয়মিত টমেটো খেলে তা প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
- ‘ব্রিটিশ জার্নাল অব নিউট্রিশন’-এর প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, টমেটো আমাদের শরীরের ক্ষতিকর এলডিএল কোলেস্টেরল কমায়। ফলে হƒৎপিণ্ডের ধমনিতে ব্লক প্রতিরোধ করে, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। একই সঙ্গে মুটিয়ে যাওয়া রোধ করে।
- মাইগ্রেনের অ্যাটাক কমায়।
- টমেটোর জুস প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ভূমিকা পালন করে। টিএনএফ-আলফা নামক একটি অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি মার্কার দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন রোগ, যেমন অস্টিওপোরোসিস, ক্যান্সার, আলঝেইমারস অসুখে পাওয়া যায়। প্রতিদিন এক গ্লাস টমেটো জুস পান করলে এক মাসেই এ উপাদান উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পায়।
- টমেটো সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
- টমেটো আংশিক খেলে উপকার পাওয়া যাবে না। আবার টমেটোতে যে অ্যাসিডিক উপাদান রয়েছে, তা অ্যালুমিনিয়াম পাত্রের সঙ্গে বিক্রিয়া করে খাবারে শোষিত হয়ে খাবারের স্বাদ ও গুণ দুটোই নষ্ট করে, কাজেই শুধু টমেটো রান্না হচ্ছে এ রকম ক্ষেত্রে অ্যালুমিনিয়াম পাত্র ব্যবহার না করাই ভালো।
বাজারে যে লাল টকটকে টমেটো পাওয়া যায়, অনেক সময়ই তা কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো হয়। এই কেমিক্যাল শরীরে ক্যান্সারসহ অনেক অসুখ তৈরি করতে পারে। তাই সাবধানতা হিসাবে টকটকে লাল নয়, কাঁচা অথবা কাঁচা-পাকা টমেটো খাওয়া ভালো।
টমেটো রান্না বা কাঁচা যেভাবেই খান-একই উপকার। তবে বেশি সময় নিয়ে রান্না করলে এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হতে পারে।
ডা. জিয়াউল হক
তথ্য সহায়তা : তৃপ্তি চৌধুরী
পুষ্টিবিদ, বিএসএমএমইউ, ঢাকা
No comments:
Post a Comment