পুরুষ ও মহিলাদের এক বিব্রতকর সমস্যা
জেনিটাল ওয়ার্টস পুরুষ ও মহিলাদের এক ধরণের ভাইরাস রোগ নিয়ে ভুগছেন দেশের হাজার হাজার পুরুষ ও মহিলা। বিশেষ করে মহিলারা এ ধরণের সমস্যা কারও কাছে বলতে চাননা। যেতে চাননা ডাক্তারের কাছে। মাঝে মধ্যে আক্রান্ত মহিলারা স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে গেলেও সবক্ষেত্রে ভালো পরামর্শ পাননা। বাংলাদেশে কত মহিলা এই ভাইরাস জনিত যৌন রোগে আক্রান্ত তার কোন পরিসংখ্যান নেই। তবে শুধু যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫০ মিলিয়ন মহিলা এই ভাইরাসে আক্রান্ত। ২২-৩০ বছরের মহিলারা বেশী আক্রান্ত হয়। সাধারণত: জেনিটাল ওয়ার্টস চিকিৎসা করে থাকেন চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞগণ। অনেক আক্রান্ত রোগীও এটা জানেননা। সব চেয়ে বড় কথা পুরুষ হোক আর মহিলা হোক প্রাথমিক অবস্থায় জেনিটাল ওয়ার্টস বা গোপন অঙ্গে অাঁচিল ও আঁচিলের মতো গ্রোথ-এর ভালো চিকিৎসা দেয়া সম্ভব। এইচপিভি বা হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস থেকেই জেনিটাল ওয়ার্টস সংক্রমিত হয়। বিজ্ঞানীরা এ পর্যন্ত একশত এর বেশী ধরণের জেনিটাল ওয়ার্টস-এর সন্ধান পেয়েছেন। এসবের বেশীরভাগ সেক্সুয়াল কন্ট্যাকটির-এর মাধ্যমে ছড়ায়। অর্থাৎ হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাসে আক্রান্ত পুরুষ অথবা মহিলার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপিত হলে এ ভাইরাস অন্যের শরীরে সংক্রমিত হতে পারে। স্বামী আক্রান্ত হলে স্ত্রীর বা স্ত্রী আক্রান্ত হলে স্বামীর এধরণের সংক্রমণ ঘটে। তবে অনেক ক্ষেত্রে এইচপিভি ভাইরাস নিষ্ক্রিয় থাকে, ক্ষতির কারণ হয়না। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে জেনিটাল ওয়ার্টস নামক মারাত্মক এই ভাইরাস রোগের সংক্রমনের অন্যতম দায়ী জীবানু হচ্ছে এইচপিভি ভাইরাস এর ৬ ও ১১ সাবটাইপ। অন্যান্য হাই রিস্ক এইচপিভি ভাইরাস থেকে মহিলাদের সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি থাকে। সাধারণত: পুরুষ ও মহিলাদের নিম্নাঙ্গে এই ভাইরাস বিভিন্ন ধরণের অাঁচিল ও অাঁচিলের মতো গ্রোথ তৈরী করে। এক সঙ্গে অনেকগুলো লেশন তৈরী হতে পারে। সাধারণত: এক্সটারনাল জেনিটাল এরিয়া, ভালবা, পেরিনিয়াম, পেরিনিয়াল স্কিন, পুরুষের নিম্ন অঙ্গ ও টেস্টিকুলার এরিয়াতে আক্রান্ত হয় বেশী। অনেক ক্ষেত্রে অনেকগুলো লেশন বা পিন্ড তৈরী না করে বরং একটা পিন্ড, বা গ্রোথ দেখা দেয়। এই ভাইরাস মহিলাদের ক্ষেত্রে নিম্নাঙ্গের মসৃন মিউক্যাস মেমব্রেন বা আবরনে, পায়ুপথের চারিপাশে ও ভেতরে, মূত্রনালীতে, সার্ভিক্স ও মুখের মিউক্যাস আবরণে এধরণের সংক্রমণ ঘটাতে পারে। সাধারণত: জেনিটাল ওয়ার্টস-এর ক্ষেত্রে মাংসের রং-এর সাদৃশ গ্রোথ দেখা দেয়। (ভষবংয-পড়ষড়ৎফ পধষষরভষড়বিৎ ষরশব ষবংরড়হং)। আক্রান্ত অাঁচিলগুলো লাল অথবা বাদামী ডোম শেপড অথবা মসৃন থাকে।
সাধারণত: বেশীরভাগ ক্ষেত্রে জেনিটাল ওয়ার্টস আক্রান্ত স্থানসমূহে কোন ধরণের উপসর্গ থাকেনা। তবে পুরুষ ও মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রে এক্সটারনাল জেনিটাল এরিয়াতে সংক্রমণ ঘটলে মাঝে মধ্যে চুলকানি থাকতে পারে। তবে ইন্টারনাল ওয়ার্টস হলে সাধারণত: কোন ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়না। তবে আক্রান্ত স্থানের গ্রোথ বড় হলে বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যেমন: মহিলাদের ক্ষেত্রে ব্যথা, রক্ত ক্ষরণ এবং স্বামী-স্ত্রীর মিলনে ব্যথা অনুভূত হতে পারে। তবে দীর্ঘদিন চিকিৎসা না করলে অনেক ক্ষেত্রে বিশেষ করে মহিলাদের আক্রান্ত স্থানগুলো ইনফেকশন হয়ে ফুলে যায়। তীব্র ব্যথা হয় এবং নানা জটিলতা তৈরী হতে পারে। তাই কোন ভাবেই এধরণের সমস্যা গোপন না রেখে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত।
সাধারণত: যে কোন অভিজ্ঞ চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ বা স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞগণ সংক্রমণ দেখেই বলে দিতে পারেন জেনিটাল ওয়ার্টস কিনা। তবে যেসব ক্ষেত্রে নিশ্চিত রোগ সনাক্ত করা যায় না তখন বায়োপসি করার প্রয়োজন হতে পারে।
জেনিটাল ওয়ার্টস এর বিভিন্ন ধরণের চিকিৎসা আছে। এই চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ভর করে চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ কি ধরণের পদ্ধতি অনুসরণ করেন তার ওপর। পুরুষের জেনিটাল ওয়ার্টস চিকিৎসা যতটা সহজ মহিলাদের জেনিটাল ওয়ার্টস হলে এর চিকিৎসা বা সার্জারী অতটা সহজ নয়। যথেষ্ট অভিজ্ঞতা না থাকলে বড় ধরণের ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যায়। বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে যখন ইন্টারনাল জেনিটাল এরিয়া আক্রান্ত হয়। তবে শতকরা ৮০-৯০ ভাগ জেনিটাল ওয়ার্টস সম্পূর্ণ অপসারণ করা বা চিকিৎসা সম্ভব। শতকরা ৫-১০ ভাগ ক্ষেত্রে জটিলতা থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশী। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কি ধরণের ব্যবস্থা নেন মূলত তার ওপরই নির্ভর করে নিরাময়ের সাফল্য। সাধারণত: তিন ভাবে আমরা জেনিটাল ওয়ার্টস-এর চিকিৎসা করতে পারি।
প্রথম: মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট বা ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা। দ্বিতীয়: সার্জিক্যাল ট্রিটমেন্ট বা অপারেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা। তৃতীয়: ইলেকট্রো ও আরএফ কটারি ও লেজার থেরাপি। তবে আক্রান্ত পুরুষ বা মহিলার আক্রান্ত স্থানের লক্ষণ বা উপসর্গ জেনিটাল ওয়ার্টস-এর আকার-আকৃতি ও আবস্থার ওপর নির্ভর করে কি ধরণের চিকিৎসা দিতে হবে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে ক্রায়ো থেরাপি, ইলেকট্রোথেরাপি, রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি (আরএফ) থেরাপি এবং কার্বোন-ডাই অক্সাইড বা সিওটু লেজার ব্যবহার করা হয়। তবে আমি নিজে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে লেজার ব্যবহার না করার পক্ষে। মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট বেশীরভাগ ক্ষেত্রে কার্যকর নয়। তাই বিশেষজ্ঞগণ সাধারণত: অাঁচিল বা অাঁচিল সাদৃশ গ্রোথ অপসারণে বেশী গুরুত্ব দেন। তবে মেডিক্যাল চিকিৎসার মধ্যে ইমিকুইমড টপিক্যাল থেরাপি সর্বাধিক ব্যবহূত হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে ট্রাইক্লোরো এসিটিক এসিড, পডোফাইলিন, ইন্টারফেরন ইত্যাদি ব্যবহারের প্রচলনও রয়েছে।
আমি আগেই বলেছি জেনিটাল ওয়ার্টস এক ধরণের সেক্সুয়াল ট্রান্সমিটেড ভাইরাল ইনফেকশন। তাই এধরনের মারাত্মক সংক্রমণ রোগ সহজে প্রতি রোধ করা যায়। সাধারণত অনৈতিক সংস্রব পরিহার, আক্রান্ত পুরুষ ও মহিলাদের সাথে প্রটেকশন ছাড়া মিলন পরিহার এবং ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা উচিত এবং পাশাপাশি পুরুষ বা মহিলাদের যে কেউ আক্রান্ত হলে প্রাথমিক অবস্থায় যথাযথ চিকিৎসা করতে পারলে অবশ্যই এই যন্ত্রনাদায়ক বিব্রতকর প্যাপিলোমা ভাইরাস ইনফেকশনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। পাশাপাশি শুধু অনুশাসন মেনে চললেই হবেনা, যথাযথ হাইজিনও মেনে চলতে হবে।
ডা: মোড়ল নজরুল ইসলাম; চুলপড়া, চর্মরোগ ও এলার্জি এবং যৌন সমস্যা বিশেষজ্ঞ কন্স্যালট্যান্ট ডার্মাটোলজিস্ট ইউনাইটেড হাসপাতাল, গুলশান, ঢাকা
জেনিটাল ওয়ার্টস পুরুষ ও মহিলাদের এক ধরণের ভাইরাস রোগ নিয়ে ভুগছেন দেশের হাজার হাজার পুরুষ ও মহিলা। বিশেষ করে মহিলারা এ ধরণের সমস্যা কারও কাছে বলতে চাননা। যেতে চাননা ডাক্তারের কাছে। মাঝে মধ্যে আক্রান্ত মহিলারা স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে গেলেও সবক্ষেত্রে ভালো পরামর্শ পাননা। বাংলাদেশে কত মহিলা এই ভাইরাস জনিত যৌন রোগে আক্রান্ত তার কোন পরিসংখ্যান নেই। তবে শুধু যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫০ মিলিয়ন মহিলা এই ভাইরাসে আক্রান্ত। ২২-৩০ বছরের মহিলারা বেশী আক্রান্ত হয়। সাধারণত: জেনিটাল ওয়ার্টস চিকিৎসা করে থাকেন চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞগণ। অনেক আক্রান্ত রোগীও এটা জানেননা। সব চেয়ে বড় কথা পুরুষ হোক আর মহিলা হোক প্রাথমিক অবস্থায় জেনিটাল ওয়ার্টস বা গোপন অঙ্গে অাঁচিল ও আঁচিলের মতো গ্রোথ-এর ভালো চিকিৎসা দেয়া সম্ভব। এইচপিভি বা হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাস থেকেই জেনিটাল ওয়ার্টস সংক্রমিত হয়। বিজ্ঞানীরা এ পর্যন্ত একশত এর বেশী ধরণের জেনিটাল ওয়ার্টস-এর সন্ধান পেয়েছেন। এসবের বেশীরভাগ সেক্সুয়াল কন্ট্যাকটির-এর মাধ্যমে ছড়ায়। অর্থাৎ হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাসে আক্রান্ত পুরুষ অথবা মহিলার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপিত হলে এ ভাইরাস অন্যের শরীরে সংক্রমিত হতে পারে। স্বামী আক্রান্ত হলে স্ত্রীর বা স্ত্রী আক্রান্ত হলে স্বামীর এধরণের সংক্রমণ ঘটে। তবে অনেক ক্ষেত্রে এইচপিভি ভাইরাস নিষ্ক্রিয় থাকে, ক্ষতির কারণ হয়না। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে জেনিটাল ওয়ার্টস নামক মারাত্মক এই ভাইরাস রোগের সংক্রমনের অন্যতম দায়ী জীবানু হচ্ছে এইচপিভি ভাইরাস এর ৬ ও ১১ সাবটাইপ। অন্যান্য হাই রিস্ক এইচপিভি ভাইরাস থেকে মহিলাদের সার্ভাইক্যাল ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি থাকে। সাধারণত: পুরুষ ও মহিলাদের নিম্নাঙ্গে এই ভাইরাস বিভিন্ন ধরণের অাঁচিল ও অাঁচিলের মতো গ্রোথ তৈরী করে। এক সঙ্গে অনেকগুলো লেশন তৈরী হতে পারে। সাধারণত: এক্সটারনাল জেনিটাল এরিয়া, ভালবা, পেরিনিয়াম, পেরিনিয়াল স্কিন, পুরুষের নিম্ন অঙ্গ ও টেস্টিকুলার এরিয়াতে আক্রান্ত হয় বেশী। অনেক ক্ষেত্রে অনেকগুলো লেশন বা পিন্ড তৈরী না করে বরং একটা পিন্ড, বা গ্রোথ দেখা দেয়। এই ভাইরাস মহিলাদের ক্ষেত্রে নিম্নাঙ্গের মসৃন মিউক্যাস মেমব্রেন বা আবরনে, পায়ুপথের চারিপাশে ও ভেতরে, মূত্রনালীতে, সার্ভিক্স ও মুখের মিউক্যাস আবরণে এধরণের সংক্রমণ ঘটাতে পারে। সাধারণত: জেনিটাল ওয়ার্টস-এর ক্ষেত্রে মাংসের রং-এর সাদৃশ গ্রোথ দেখা দেয়। (ভষবংয-পড়ষড়ৎফ পধষষরভষড়বিৎ ষরশব ষবংরড়হং)। আক্রান্ত অাঁচিলগুলো লাল অথবা বাদামী ডোম শেপড অথবা মসৃন থাকে।
সাধারণত: বেশীরভাগ ক্ষেত্রে জেনিটাল ওয়ার্টস আক্রান্ত স্থানসমূহে কোন ধরণের উপসর্গ থাকেনা। তবে পুরুষ ও মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রে এক্সটারনাল জেনিটাল এরিয়াতে সংক্রমণ ঘটলে মাঝে মধ্যে চুলকানি থাকতে পারে। তবে ইন্টারনাল ওয়ার্টস হলে সাধারণত: কোন ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়না। তবে আক্রান্ত স্থানের গ্রোথ বড় হলে বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যেমন: মহিলাদের ক্ষেত্রে ব্যথা, রক্ত ক্ষরণ এবং স্বামী-স্ত্রীর মিলনে ব্যথা অনুভূত হতে পারে। তবে দীর্ঘদিন চিকিৎসা না করলে অনেক ক্ষেত্রে বিশেষ করে মহিলাদের আক্রান্ত স্থানগুলো ইনফেকশন হয়ে ফুলে যায়। তীব্র ব্যথা হয় এবং নানা জটিলতা তৈরী হতে পারে। তাই কোন ভাবেই এধরণের সমস্যা গোপন না রেখে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত।
সাধারণত: যে কোন অভিজ্ঞ চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ বা স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞগণ সংক্রমণ দেখেই বলে দিতে পারেন জেনিটাল ওয়ার্টস কিনা। তবে যেসব ক্ষেত্রে নিশ্চিত রোগ সনাক্ত করা যায় না তখন বায়োপসি করার প্রয়োজন হতে পারে।
জেনিটাল ওয়ার্টস এর বিভিন্ন ধরণের চিকিৎসা আছে। এই চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ভর করে চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ কি ধরণের পদ্ধতি অনুসরণ করেন তার ওপর। পুরুষের জেনিটাল ওয়ার্টস চিকিৎসা যতটা সহজ মহিলাদের জেনিটাল ওয়ার্টস হলে এর চিকিৎসা বা সার্জারী অতটা সহজ নয়। যথেষ্ট অভিজ্ঞতা না থাকলে বড় ধরণের ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে যায়। বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে যখন ইন্টারনাল জেনিটাল এরিয়া আক্রান্ত হয়। তবে শতকরা ৮০-৯০ ভাগ জেনিটাল ওয়ার্টস সম্পূর্ণ অপসারণ করা বা চিকিৎসা সম্ভব। শতকরা ৫-১০ ভাগ ক্ষেত্রে জটিলতা থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশী। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কি ধরণের ব্যবস্থা নেন মূলত তার ওপরই নির্ভর করে নিরাময়ের সাফল্য। সাধারণত: তিন ভাবে আমরা জেনিটাল ওয়ার্টস-এর চিকিৎসা করতে পারি।
প্রথম: মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট বা ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা। দ্বিতীয়: সার্জিক্যাল ট্রিটমেন্ট বা অপারেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা। তৃতীয়: ইলেকট্রো ও আরএফ কটারি ও লেজার থেরাপি। তবে আক্রান্ত পুরুষ বা মহিলার আক্রান্ত স্থানের লক্ষণ বা উপসর্গ জেনিটাল ওয়ার্টস-এর আকার-আকৃতি ও আবস্থার ওপর নির্ভর করে কি ধরণের চিকিৎসা দিতে হবে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে ক্রায়ো থেরাপি, ইলেকট্রোথেরাপি, রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি (আরএফ) থেরাপি এবং কার্বোন-ডাই অক্সাইড বা সিওটু লেজার ব্যবহার করা হয়। তবে আমি নিজে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে লেজার ব্যবহার না করার পক্ষে। মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট বেশীরভাগ ক্ষেত্রে কার্যকর নয়। তাই বিশেষজ্ঞগণ সাধারণত: অাঁচিল বা অাঁচিল সাদৃশ গ্রোথ অপসারণে বেশী গুরুত্ব দেন। তবে মেডিক্যাল চিকিৎসার মধ্যে ইমিকুইমড টপিক্যাল থেরাপি সর্বাধিক ব্যবহূত হয়। তবে অনেক ক্ষেত্রে ট্রাইক্লোরো এসিটিক এসিড, পডোফাইলিন, ইন্টারফেরন ইত্যাদি ব্যবহারের প্রচলনও রয়েছে।
আমি আগেই বলেছি জেনিটাল ওয়ার্টস এক ধরণের সেক্সুয়াল ট্রান্সমিটেড ভাইরাল ইনফেকশন। তাই এধরনের মারাত্মক সংক্রমণ রোগ সহজে প্রতি রোধ করা যায়। সাধারণত অনৈতিক সংস্রব পরিহার, আক্রান্ত পুরুষ ও মহিলাদের সাথে প্রটেকশন ছাড়া মিলন পরিহার এবং ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা উচিত এবং পাশাপাশি পুরুষ বা মহিলাদের যে কেউ আক্রান্ত হলে প্রাথমিক অবস্থায় যথাযথ চিকিৎসা করতে পারলে অবশ্যই এই যন্ত্রনাদায়ক বিব্রতকর প্যাপিলোমা ভাইরাস ইনফেকশনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। পাশাপাশি শুধু অনুশাসন মেনে চললেই হবেনা, যথাযথ হাইজিনও মেনে চলতে হবে।
ডা: মোড়ল নজরুল ইসলাম; চুলপড়া, চর্মরোগ ও এলার্জি এবং যৌন সমস্যা বিশেষজ্ঞ কন্স্যালট্যান্ট ডার্মাটোলজিস্ট ইউনাইটেড হাসপাতাল, গুলশান, ঢাকা
No comments:
Post a Comment