ড. অরূপরতন চৌধুরী
বিভিন্ন রোগের কারণে মাড়ি আলগা হয়ে যায়। এ ধরনের রোগের মধ্যে অন্যতম হলো_
পেরিওডন্টাল ডিজিজ : এটি মাড়ি প্রদাহজনিত রোগ। একে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যেমন- (ক) জিনজিভাইটিজ মাড়ির প্রদাহ : এ রোগ হলে মাড়ি থেকেরক্ত বের হয় এবং মাড়ি ফুলে যায়। (খ) পেরিওডন্টাইটিজ : মাড়ির প্রদাহ আরও গভীরে প্রবেশ করতে থাকলে পকেট সৃষ্টি হয় ও পার্শ্ববর্তী অংশগুলোযেমন পেরিওডেন্টাল মেমব্রেন ও পাতলা হাড় আক্রান্ত হয়। এমতাবস্থায় অবস্থায় দাঁত থেকে মাড়ি ধীরে ধীরে আলগা হতে থাকে। বিভিন্ন রোগের মধ্যেঅন্যতম হলো_ ডায়াবেটিস। এ রোগটি নিয়ন্ত্রণে না থাকলে অর্থাৎ রক্তের সুগার বেড়ে (> 7.8 moiL/) গেলে সঙ্গত কারণেই মাড়ির প্রদাহ প্রচণ্ড বেড়েযায়। ফলে দাঁত থেকে মাড়ি আলগা হয়ে যায়।
চিকি ৎসা : এ ধরনের রোগ হলে প্রথমেই রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে তার দেহের রক্তের সুগার স্বল্পতা যেমন- B12, Iron & Folate পরীক্ষা করাপ্রয়োজন। যদি সুগার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে তবে চিকিৎসার মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে এবং ভিটামিন স্বল্পতা থাকলে সাপ্লিমেন্টদিতে হবে। দ্বিতীয়ত. দাঁতের গায়ে জমে থাকা পাথর ডেন্টাল প্লাক পরিষ্কার করা প্রয়োজন। এর জন্য চিকিৎসাব্যবস্থা হচ্ছে ডেন্টাল স্কেলিং। তৃতীয়ত. মাড়ির এই আলগা অবস্থা যদি খুব গভীর হয় তাহলে জিনজিভেকটমি বা মাড়ির শৈল্য চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করা প্রয়োজন। তবে এ ধরনের সমস্যায়অ্যান্টিবায়োটিকের সঙ্গে মেট্রোনিডাজল কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। সেই সঙ্গে অন্য জটিলতা প্রতিরোধ করতে পারে। ধূমপান, মাদকদ্রব্য, তামাক পাতা, জর্দা ব্যবহার বন্ধ করা প্রয়োজন। কারণ এ ধরনের নেশাজাতীয় বস্তু মাড়ির প্রদাহ বা ইনফেকশন দূর করতে বাধা সৃষ্টি করে।
লেখক : বিভাগীয় প্রধান
ডিপার্টমেন্ট অব ডেন্টিস্ট্রি, বারডেম হাসপাতাল
পেরিওডন্টাল ডিজিজ : এটি মাড়ি প্রদাহজনিত রোগ। একে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যেমন- (ক) জিনজিভাইটিজ মাড়ির প্রদাহ : এ রোগ হলে মাড়ি থেকেরক্ত বের হয় এবং মাড়ি ফুলে যায়। (খ) পেরিওডন্টাইটিজ : মাড়ির প্রদাহ আরও গভীরে প্রবেশ করতে থাকলে পকেট সৃষ্টি হয় ও পার্শ্ববর্তী অংশগুলোযেমন পেরিওডেন্টাল মেমব্রেন ও পাতলা হাড় আক্রান্ত হয়। এমতাবস্থায় অবস্থায় দাঁত থেকে মাড়ি ধীরে ধীরে আলগা হতে থাকে। বিভিন্ন রোগের মধ্যেঅন্যতম হলো_ ডায়াবেটিস। এ রোগটি নিয়ন্ত্রণে না থাকলে অর্থাৎ রক্তের সুগার বেড়ে (> 7.8 moiL/) গেলে সঙ্গত কারণেই মাড়ির প্রদাহ প্রচণ্ড বেড়েযায়। ফলে দাঁত থেকে মাড়ি আলগা হয়ে যায়।
চিকি ৎসা : এ ধরনের রোগ হলে প্রথমেই রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে তার দেহের রক্তের সুগার স্বল্পতা যেমন- B12, Iron & Folate পরীক্ষা করাপ্রয়োজন। যদি সুগার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে তবে চিকিৎসার মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে এবং ভিটামিন স্বল্পতা থাকলে সাপ্লিমেন্টদিতে হবে। দ্বিতীয়ত. দাঁতের গায়ে জমে থাকা পাথর ডেন্টাল প্লাক পরিষ্কার করা প্রয়োজন। এর জন্য চিকিৎসাব্যবস্থা হচ্ছে ডেন্টাল স্কেলিং। তৃতীয়ত. মাড়ির এই আলগা অবস্থা যদি খুব গভীর হয় তাহলে জিনজিভেকটমি বা মাড়ির শৈল্য চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করা প্রয়োজন। তবে এ ধরনের সমস্যায়অ্যান্টিবায়োটিকের সঙ্গে মেট্রোনিডাজল কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। সেই সঙ্গে অন্য জটিলতা প্রতিরোধ করতে পারে। ধূমপান, মাদকদ্রব্য, তামাক পাতা, জর্দা ব্যবহার বন্ধ করা প্রয়োজন। কারণ এ ধরনের নেশাজাতীয় বস্তু মাড়ির প্রদাহ বা ইনফেকশন দূর করতে বাধা সৃষ্টি করে।
লেখক : বিভাগীয় প্রধান
ডিপার্টমেন্ট অব ডেন্টিস্ট্রি, বারডেম হাসপাতাল
No comments:
Post a Comment