Search This Blog

Tuesday, May 10, 2011

তারুণ্য ধরে রাখতে ১০ উপায়


শুক্র, মে ২০১১, ২৩ বৈশাখ ১৪১৮
আজকাল অনেক রোগী পাই যারা চির তরুণ থাকতে চান। ধরে রাখতে চান বয়সের গতি। কিন্তু সৃষ্টির অমোঘ বিধান লংঘন করার কোন সুযোগ নেই।বিজ্ঞানও এখানে অসহায়। তবে বয়সের গতি থামিয়ে দিতে না পারলেও আধুনিক চিকিত্সা বিজ্ঞান মানুষের জীবনকে কর্মঠ অ্যাকটিভ রাখার নানাপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে সফলও হচ্ছে। তাই কিভাবে শরীরকে সুস্থ, সবল অ্যাকটিভ রাখবেন তাই নিয়ে আজকের লেখা সুস্থ সবল এ্যাকটিভজীবনের জন্য
এক:অন্যতম দরকার হচ্ছে নিয়মানুবর্তিতা শৃংখলা। তরুণ বয়স থেকেই এই শৃংখলার চর্চা করতে হবে এবং ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে হবে। কোনভোবেই নিজের ওপর অত্যাচার করা যাবেনা। পাশাপাশি ভ্রান্ত ধারণা কুসংস্কার পরিহার করতে হবে। বিনা প্রয়োজনে কোন ধরণের অপচিকিত্সা নেয়াযাবেনা
দুই: যথাসম্ভব চর্বি জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে অথবা চর্বি জাতীয় খাবার কম আহার করতে হবে। পাশাপাশি সুষম খাবার যেমন, প্রচুরশাক-সবজি, প্রয়োজন মত মাছ-মাংস, ডিম প্রচুর ফল খেতে হবে।  এছাড়া প্রতিদিন -১০ গ্লাস বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। পাশাপাশি কোন ধরণেরফাস্টফুড, তেলেভাজা খাবার সফট ড্রিংস খাওয়া চলবেনা
তিন: প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে। প্রতিদিন নাহলেও অন্তত: সপ্তাহে দিন ব্যায়াম যেমন, হাটা চলা, জগিং করা, সুইমিং করতেহবে। মনে রাখতে হবে ব্যায়াম শরীরের রক্তচলাচলে স্বাভাবিক রাখে এবং অনেক ক্ষেত্রে শারীরিক সুস্থ সবলতার জন্য রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখা প্রয়োজনহয়
চার: মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। মানসিক চাপ, হতাশা থেকে শারীরিক সামর্থ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মানসিক চাপ কমানোর জন্য ওষুধ নির্ভরতা কমিয়েযে কারণে মানসিক চাপ পরিলক্ষিত হচ্ছে তা নিরসনে সচেষ্ট হতে হবে। নিজের যা আছে তাই নিয়েই সুখী থাকতে চেষ্টা করুন। বিবাহিত হলে দাম্পত্যজীবন আনন্দময় করা চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। তবে কখনও শরীরের শক্তি বাড়াতে উত্তেজক ওষুধ খাবেন না
পাঁচ: ত্বক সুন্দর রাখার চেষ্টা করুন। কারণ সর্ব প্রথম বয়সের ছাপ কিন্তু ত্বকে পড়ে। তাই ত্বক সুন্দর মসৃণ রাখতে ত্বকের পরিচর্যা করুন। প্রতিদিনমুখের ত্বক পরিষ্কার রাখতে যেকোন ভালো ক্লিনজার ব্যবহার করুন। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন এবং রোদে যাবার আগে যেকোন হালকা সানব্লকব্যবহার করুন। ত্বক ভালো রাখতে প্রচুর সবজি ফল পানি পান করুন
ছয়: প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে চেষ্টা করুন এবং প্রত্যুেষে ঘুম থেকে উঠে যার যার ধর্মমতে প্রার্থনা করুন। ইয়োগা, মেডিটেশনও করতে পারেন। এবংঅন্যের কোন অনিষ্ট যাতে আপনার কর্ম-আচার-আচরণে না ঘটে তার প্রতি সতর্ক থাবেন। পরিবারের সদস্যদেরও সেই নিয়মানুবর্তিতার শিক্ষায় উজ্জীবীতকরুন
সাত: ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, কোলেস্টেরল, অতিরিক্ত ওজন, থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে চিকিত্সা করুন এবং ডায়াবেটিস উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেরাখুন। লবণ কম খান
আট: ধূমপান একেবারেই পরিহার করুন। ধূমপান শারীরিক সামর্থ নষ্ট করে, ত্বক মনের তারুণ্য কমিয়ে দেয় এবং হূদরোগসহ নানা শারীরিক জটিলতাসৃষ্টি করে। তাই ধূমপান একেবারেই নয়। পাশাপাশি মদ্যপান পরিহার রকুন
নয়: সব সময় পজিটিভ চিন্তা করুন এবং যে কোন সমস্যা মনের জোর দিয়ে জয় করার চেষ্টা করুন। এমনকি দাম্পত্য সমস্যাও মানসিক শক্তি দিয়ে জয়জরা যায়। ওষুধের প্রয়োজন নেই
দশ: নিজের অনেক কঠিন সমস্যা নিজের মধ্যে না রেখে আপনজন বা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেয়ার করুন। প্রয়োজনে উপযুক্ত কাউন্সিলিং এর জন্যসংশ্লিষ্ট কোন চিকিত্সকের পরামর্শ নিন
ডা: মোড়ল নজরুল ইসলাম, চুলপড়া, চর্মরোগ এলার্জি এবং যৌন সমস্যা বিশেষজ্ঞ, লেজার এন্ড কসমেটিক সার্জন, বাংলাদেশ লেজার স্কিন সেন্টার, বাড়ী-৩৯ (আম্বালা কমপ্লেক্স), রোড- ধানমন্ডি, ঢাকা


m~Z&ª: দৈনিক ইত্তেফাক (07/05/2011)

No comments:

Post a Comment