Search This Blog

Tuesday, May 10, 2011

সাইনুসাইটিস ও প্রতিকার


শুক্র, মে ২০১১, ২৩ বৈশাখ ১৪১৮
আমাদের নাসারন্ধ্রে লক্ষ লক্ষ ব্যাকটেরিয়ার অবস্থান। বেশিরভাগ সময়েই এগুলো ক্ষতিকর নয়। কোন কোনটা নাসারন্ধ্রে প্রবেশ করলেও যতক্ষণ পর্যন্তশ্লেষ্মার সঙ্গে ভেসে বেড়ায় ততক্ষণ পর্যন্ত এরা কোন ক্ষতির কারণ হয় না। কিন্তু সাইনাসের ড্রেনেজ বন্ধ হয়ে গেলে সাইনাস গ্রন্থিগুলে শ্লেষ্মা উত্পাদন করতেশুরু করে এবং এই শ্লেষ্মা হয়ে উঠে ব্যাকটেরিয়ার একটি সুবিধাজনক বিশ্রামাগার। ব্যাকটেরিয়া এখানে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বেড়ে উঠে এবং রোগীর অনাক্রম্যপদ্ধতি একটি প্রদাহ সাড়া শুরু করে দেয়। এর ফলে স্ফীতি ঘটে, মাথা ব্যথা মুখে ব্যথা শুরু হয়। শ্লেষ্মা জমে নাক বুজে যায়। সময় ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গেযুদ্ধ করতে ছুটে আসে শ্বেত রক্ত কণিকা। এই রক্ত কণিকা শ্লেষ্মাকে ঘন, হলদেটে এবং সবুজাভাব করে। অন্যান্য লক্ষণের মধ্যে রয়েছে গন্ধ স্বাদের অনুভূতিহারানো, কফ, নি:শ্বাসে দুর্গন্ধ, দাঁত ব্যথা, কান ভারীবোধ ইত্যাদি
সাইনাসের বিবিধ পরিবেশগত, শারীরবৃত্তিক এবং জেনেটিক কারণ থাকলেও এর প্রধান কারণ হচ্ছে ঠান্ডা কিংবা অ্যালার্জী জনিত নাসারন্ধ্রের স্ফীতি।কাঠামোগত সমস্যা, যথা ডান বাম নাসারন্ধ্রের মধ্যবর্তী দেয়ালে বক্রতা থাকলে আরো মারাত্মক সাইনুসাইটি ঘটতে পারে। নাকে পলিপ হলেও এমনটাঘটতে পারে
সাইনুসাইটস প্রতিরোধ: সাইনুসাইটিসে আক্রান্ত হওয়া থেকে নিজেকে বাঁচাতে এবং সাইনুসাইটিসের প্রাথমিক লক্ষণগুলো মোকাবিলায় আপনার অনেক কিছুইকরার আছে। প্রধান কাজটি হলো নাসারন্ধ্র সচল পরিষ্কার রাখা। এব্যাপারে কতিপয় পরামর্শ:্ক প্রতিদিন নাসারন্ধ্র পানিতে ভেজান ্ক প্রচুর পানিপান করুন ্ক নিঃশ্বাসের সাথে বাষ্প নিন ্ক শুকনো পরিবেশ এড়িয়ে চলুন ্ক মাথা উঁচুতে রেখে ঘুমান ্ক নাকের প্রতি সদয় হোন ্ক ব্যবস্থাপত্রছাড়া এন্টিহিস্টামিন গ্রহণ করবেন না ্ক ডিকনজেষ্ট্যান্ট ব্যবহারে সতর্ক হোন।


m~Z&ª: দৈনিক ইত্তেফাক (15/01/2011)

No comments:

Post a Comment