অসুখের কথা শিশুরা প্রায় সময়ই ঠিকভাবে বলতে পারে না। তাহলে কিভাবে বুঝবেন আপনার শিশুটিকে ডাক্তার দেখাতে হবে? লিখেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেসিডেন্ট ডা. সাবরিনা মিষ্টি। পরামর্শ দিয়েছেন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের শিশু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. এহসান কাদির
যেহেতু সমস্যার কথা শিশুরা ঠিকমতো বলতে পারে না তাই ওদের রোগ নির্ণয়ে সময় লাগে। ফলে চিকিৎসা দিতেও দেরি হয়। কিন্তু বড়দের চেয়ে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তারা সহজেই অসুখ থেকে মারাত্মক বিপদের মধ্যে পড়তে পারে।
তাই শিশুদের অসুখ-বিসুখের ব্যাপারে বাড়ির অভিভাবক হিসাবে বাবা-মা, বড়দের ভূমিকাই বেশি। কিছু চিহ্ন আছে যা শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা দিলে তার চিকিৎসার ব্যাপারে ত্বরিত ব্যবস্থা নিতে হবে। মা-বাবা বা বাড়ির অভিভাবকরা সেসব বিষয় শিশুর মধ্যে দেখামাত্র দ্রুত ডাক্তারের কাছে নেবেন সে বিষয়গুলো সম্পর্কে নিচে ধারণা দেওয়া হলো।
নবজাতকের ক্ষেত্রে
শহরে বেশির ভাগ শিশুর জন্ম হাসপাতালে হলেও গ্রামে বেশির ভাগ শিশুর জন্ম হয় বাড়িতে। সরকারি হিসাবে, শহর ও গ্রাম মিলিয়ে শতকরা ৮২ ভাগ শিশুর জন্ম হয় বাড়িতে। যা হোম ডেলিভারি নামে পরিচিত। দাই বা ধাত্রীর সহযোগিতায় ও কোনো চিকিৎসকের উপস্থিতি ছাড়াই জন্মদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। হাসপাতালে জন্মানো বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ডাক্তার উপস্থিত থাকে বলে বাচ্চার কোনো সমস্যা হলে তিনি ব্যবস্থা নিতে পারেন কিন্তু বাড়িতে জন্মানো বাচ্চার ক্ষেত্রে অভিভাবককেই বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে। জন্মের সঙ্গে সঙ্গে দেখে নিন শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাস ঠিক আছে কি না, শিশুর হার্ট বিট বুকে কান পাতলে শুনতে পাচ্ছেন কি না, প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ স্বাভাবিক কি না। এরপরও নবজাতকের মধ্যে নিচের বিষয়গুলো লক্ষ্য করলে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
* জন্মের সঙ্গে সঙ্গে না কাঁদলে
* বাচ্চার গায়ের রঙ নীল হয়ে গেলে
* বাচ্চা ঠিকমতো শ্বাস প্রশ্বাস না নিলে
* নবজাতকের মুখ দিয়ে ফেনা বা ফেনার মতো কিছু বের হলে
* শিশুর ওজন খুব কম হলে। জন্মের সময় আড়াই কেজির নিচে হলে।
* শিশুর মাথার পেছনে, ঘাড়ে, পিঠে বা কোমরে বলের মতো কোনো ফোলা অংশ থাকলে।
* শিশু মলত্যাগ না করলে
* শিশু দুধ পান করতে না পারলে
* শিশুর মাথা স্বাভাবিকের তুলনায় বড় হলে
* শিশু ক্রমাগত কাঁদতে থাকলে
এক মাস বয়স পর্যন্ত শিশুদের ক্ষেত্রে
* বাচ্চা হঠাৎ বুকের দুধ পান বন্ধ করলে বা পান করতে না পারলে
* এক নাগাড়ে কয়েক ঘণ্টা কান্নাকাটি করলে
* নাভি ৫-৭ দিনের মধ্যে শুকিয়ে না গেলে
* শিশুর জ্বর এলে
* শিশুর বুকে ঘড়ঘড় শব্দ হলে
* হঠাৎ করে মলত্যাগ করা বন্ধ করলে
* ঘন ঘন বমি করলে
* পেট অনেকখালি ফুলে গেলে
* বারবার দুর্গন্ধযুক্ত মলত্যাগ করলে
মনে রাখবেন বুকের দুধ খাওয়ানো বাচ্চাদের দিনে ১০ বার বা তারও বেশি পায়খানা করতে পারে। এমনকি দুই দিনে একবারও পায়খানা করতে পারে। উভয়টাই স্বাভাবিক। কিন্তু পায়খানার সঙ্গে রক্ত গেলে বা পায়খানা বেশি দুর্গন্ধযুক্ত হলে তা মোটেই স্বাভাবিক নয়।
এক বছর বয়স পর্যন্ত
এক বছর বয়সের মধ্যে শিশু কিছু কিছু কাজ করতে শিখবে, কিছু শব্দ বলতে পারবে বা বলতে চেষ্টা করবে কিন্তু যদি তা না শেখে তাহলে বুঝতে হবে তার অন্য কোনো সমস্যা আছে। অর্থাৎ বয়স অনুযায়ী তার বিকাশ স্বাভাবিক হচ্ছে না। তাই নিচের বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখুন।
* প্রথম মাসে শব্দ শুনে চোখ ফেরাতে পারবে। একটু মাথাও নাড়াতে পারবে।
* দ্বিতীয় মাসে চোখ ঘুরিয়ে তাকাতে পারবে, মাথা একটু বেশি ওঠাতে পারবে।
* তৃতীয় মাসে বাবা-মার গলার স্বর ও মুখ চিনতে পারবে। খেলনা হাত দিয়ে ধরতে পারবে।
* চতুর্থ মাসে শব্দ শুনে হাসবে বা মুখ দিয়ে কিছু বলার চেষ্টা করবে। কামড় দেবে।
* পঞ্চম মাসে নাম শুনে তাকাবে (যদি শিশুকে প্রথম থেকে একই নামে ডাকা হয়), নিচের মাঢ়ির দাঁত উঠতে শুরু করবে বা দাঁত ওঠার লক্ষণ দেখা যাবে। বসিয়ে দিলে বসে থাকতে পারবে।
* ষষ্ঠ মাসে নিজে নিজে বসতে পারবে। শব্দের উৎস বুঝতে পারবে, মা-বাবার কোল থেকে অপরিচিত কারো কোলে গেলে কাঁদবে। হামাগুড়ি দেওয়ার চেষ্টা করবে।
* সপ্তম মাসে বসবে, হামাগুড়ি দেবে। অপরিচিত লোক দেখলে কাঁদবে বা তার কাছে যেতে চাইবে না।
* অষ্টম মাসে কোনো কিছু ধরিয়ে দিলে বা দাঁড় করিয়ে দিলে দাঁড়াতে পারবে, মা-বাবা বলতে পারবে বা বলার চেষ্টা করবে।
* নবম মাসে নিজে নিজে কোনো কিছু ধরে দাঁড়াবে। গ্লাসে চুমুক দিয়ে কিছু খেতে পারবে।
* দশম মাসে কয়েক সেকেন্ডের জন্য কোনো কিছুর সাহায্য ছাড়াই দাঁড়াতে পারবে। মা-বাবাকে চিনে ইশারা বা শব্দ করে কাছে ডাকবে।
* একাদশ মাসে কিছু বললে বা নিষেধ করলে বুঝতে পারবে।
* দ্বাদশ মাসে একপা দুই পা করে হাঁটতে চেষ্টা করবে। মা-বাবা ছাড়াও আরো দু-একটি শব্দ বলবে বা বলার চেষ্টা করবে।
যদি এরকম স্বাভাবিক বৃদ্ধি তার মধ্যে পরিলক্ষিত না হয়, তবে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। তবে এ কথাও মনে রাখতে হবে, সব শিশুই যে একেবারে মাস হিসাবে সব কিছু করবে, তা কিন্তু নয়_কারো কারো ক্ষেত্রে একটু আগে বা পরে ব্যাপারগুলো ঘটবে। বড়দের এই স্বাভাবিকতাও বুঝতে হবে।
এক বছর বয়সের পর থেকে
এই বয়সে তারা বলতে শেখে তবে শব্দস্বল্পতা বা অভিজ্ঞতার অভাবে ঠিকভাবে বলতে পারে না। তাদের কথা শুনে বা আচরণ দেখে এই সময়টায় বুঝতে হবে তার সমস্যাগুলো। যেমন_
* সামাজিক মেলামেশা করতে পারছে কিনা
* কথা বুঝতে পারছে কি না
* ভাষা ও ভাবের আদান-প্রদান স্বাভাবিক কি না
* রাগ প্রকাশের ভঙ্গি স্বাভাবিক কিনা
* ভয় বা নিজের মধ্যে অতিরিক্ত গুটিয়ে থাকার প্রবণতা আছে কি না
এই বিষয়গুলো মা-বাবা অভিভাবকদের লক্ষ্য রাখতে হবে। যদি এই বিষয়গুলো স্বাভাবিক না থাকে তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
শিশুরা সহজে রোগাক্রান্ত হয়, তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কম তাই রোগে আক্রান্ত হওয়া মাত্র নির্ণিত ও চিকিৎসা করা গেলে তা সবদিক থেকেই মঙ্গলজনক।
তাই শিশুদের অসুখ-বিসুখের ব্যাপারে বাড়ির অভিভাবক হিসাবে বাবা-মা, বড়দের ভূমিকাই বেশি। কিছু চিহ্ন আছে যা শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা দিলে তার চিকিৎসার ব্যাপারে ত্বরিত ব্যবস্থা নিতে হবে। মা-বাবা বা বাড়ির অভিভাবকরা সেসব বিষয় শিশুর মধ্যে দেখামাত্র দ্রুত ডাক্তারের কাছে নেবেন সে বিষয়গুলো সম্পর্কে নিচে ধারণা দেওয়া হলো।
নবজাতকের ক্ষেত্রে
শহরে বেশির ভাগ শিশুর জন্ম হাসপাতালে হলেও গ্রামে বেশির ভাগ শিশুর জন্ম হয় বাড়িতে। সরকারি হিসাবে, শহর ও গ্রাম মিলিয়ে শতকরা ৮২ ভাগ শিশুর জন্ম হয় বাড়িতে। যা হোম ডেলিভারি নামে পরিচিত। দাই বা ধাত্রীর সহযোগিতায় ও কোনো চিকিৎসকের উপস্থিতি ছাড়াই জন্মদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। হাসপাতালে জন্মানো বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ডাক্তার উপস্থিত থাকে বলে বাচ্চার কোনো সমস্যা হলে তিনি ব্যবস্থা নিতে পারেন কিন্তু বাড়িতে জন্মানো বাচ্চার ক্ষেত্রে অভিভাবককেই বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে। জন্মের সঙ্গে সঙ্গে দেখে নিন শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাস ঠিক আছে কি না, শিশুর হার্ট বিট বুকে কান পাতলে শুনতে পাচ্ছেন কি না, প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ স্বাভাবিক কি না। এরপরও নবজাতকের মধ্যে নিচের বিষয়গুলো লক্ষ্য করলে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
* জন্মের সঙ্গে সঙ্গে না কাঁদলে
* বাচ্চার গায়ের রঙ নীল হয়ে গেলে
* বাচ্চা ঠিকমতো শ্বাস প্রশ্বাস না নিলে
* নবজাতকের মুখ দিয়ে ফেনা বা ফেনার মতো কিছু বের হলে
* শিশুর ওজন খুব কম হলে। জন্মের সময় আড়াই কেজির নিচে হলে।
* শিশুর মাথার পেছনে, ঘাড়ে, পিঠে বা কোমরে বলের মতো কোনো ফোলা অংশ থাকলে।
* শিশু মলত্যাগ না করলে
* শিশু দুধ পান করতে না পারলে
* শিশুর মাথা স্বাভাবিকের তুলনায় বড় হলে
* শিশু ক্রমাগত কাঁদতে থাকলে
এক মাস বয়স পর্যন্ত শিশুদের ক্ষেত্রে
* বাচ্চা হঠাৎ বুকের দুধ পান বন্ধ করলে বা পান করতে না পারলে
* এক নাগাড়ে কয়েক ঘণ্টা কান্নাকাটি করলে
* নাভি ৫-৭ দিনের মধ্যে শুকিয়ে না গেলে
* শিশুর জ্বর এলে
* শিশুর বুকে ঘড়ঘড় শব্দ হলে
* হঠাৎ করে মলত্যাগ করা বন্ধ করলে
* ঘন ঘন বমি করলে
* পেট অনেকখালি ফুলে গেলে
* বারবার দুর্গন্ধযুক্ত মলত্যাগ করলে
মনে রাখবেন বুকের দুধ খাওয়ানো বাচ্চাদের দিনে ১০ বার বা তারও বেশি পায়খানা করতে পারে। এমনকি দুই দিনে একবারও পায়খানা করতে পারে। উভয়টাই স্বাভাবিক। কিন্তু পায়খানার সঙ্গে রক্ত গেলে বা পায়খানা বেশি দুর্গন্ধযুক্ত হলে তা মোটেই স্বাভাবিক নয়।
এক বছর বয়স পর্যন্ত
এক বছর বয়সের মধ্যে শিশু কিছু কিছু কাজ করতে শিখবে, কিছু শব্দ বলতে পারবে বা বলতে চেষ্টা করবে কিন্তু যদি তা না শেখে তাহলে বুঝতে হবে তার অন্য কোনো সমস্যা আছে। অর্থাৎ বয়স অনুযায়ী তার বিকাশ স্বাভাবিক হচ্ছে না। তাই নিচের বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখুন।
* প্রথম মাসে শব্দ শুনে চোখ ফেরাতে পারবে। একটু মাথাও নাড়াতে পারবে।
* দ্বিতীয় মাসে চোখ ঘুরিয়ে তাকাতে পারবে, মাথা একটু বেশি ওঠাতে পারবে।
* তৃতীয় মাসে বাবা-মার গলার স্বর ও মুখ চিনতে পারবে। খেলনা হাত দিয়ে ধরতে পারবে।
* চতুর্থ মাসে শব্দ শুনে হাসবে বা মুখ দিয়ে কিছু বলার চেষ্টা করবে। কামড় দেবে।
* পঞ্চম মাসে নাম শুনে তাকাবে (যদি শিশুকে প্রথম থেকে একই নামে ডাকা হয়), নিচের মাঢ়ির দাঁত উঠতে শুরু করবে বা দাঁত ওঠার লক্ষণ দেখা যাবে। বসিয়ে দিলে বসে থাকতে পারবে।
* ষষ্ঠ মাসে নিজে নিজে বসতে পারবে। শব্দের উৎস বুঝতে পারবে, মা-বাবার কোল থেকে অপরিচিত কারো কোলে গেলে কাঁদবে। হামাগুড়ি দেওয়ার চেষ্টা করবে।
* সপ্তম মাসে বসবে, হামাগুড়ি দেবে। অপরিচিত লোক দেখলে কাঁদবে বা তার কাছে যেতে চাইবে না।
* অষ্টম মাসে কোনো কিছু ধরিয়ে দিলে বা দাঁড় করিয়ে দিলে দাঁড়াতে পারবে, মা-বাবা বলতে পারবে বা বলার চেষ্টা করবে।
* নবম মাসে নিজে নিজে কোনো কিছু ধরে দাঁড়াবে। গ্লাসে চুমুক দিয়ে কিছু খেতে পারবে।
* দশম মাসে কয়েক সেকেন্ডের জন্য কোনো কিছুর সাহায্য ছাড়াই দাঁড়াতে পারবে। মা-বাবাকে চিনে ইশারা বা শব্দ করে কাছে ডাকবে।
* একাদশ মাসে কিছু বললে বা নিষেধ করলে বুঝতে পারবে।
* দ্বাদশ মাসে একপা দুই পা করে হাঁটতে চেষ্টা করবে। মা-বাবা ছাড়াও আরো দু-একটি শব্দ বলবে বা বলার চেষ্টা করবে।
যদি এরকম স্বাভাবিক বৃদ্ধি তার মধ্যে পরিলক্ষিত না হয়, তবে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। তবে এ কথাও মনে রাখতে হবে, সব শিশুই যে একেবারে মাস হিসাবে সব কিছু করবে, তা কিন্তু নয়_কারো কারো ক্ষেত্রে একটু আগে বা পরে ব্যাপারগুলো ঘটবে। বড়দের এই স্বাভাবিকতাও বুঝতে হবে।
এক বছর বয়সের পর থেকে
এই বয়সে তারা বলতে শেখে তবে শব্দস্বল্পতা বা অভিজ্ঞতার অভাবে ঠিকভাবে বলতে পারে না। তাদের কথা শুনে বা আচরণ দেখে এই সময়টায় বুঝতে হবে তার সমস্যাগুলো। যেমন_
* সামাজিক মেলামেশা করতে পারছে কিনা
* কথা বুঝতে পারছে কি না
* ভাষা ও ভাবের আদান-প্রদান স্বাভাবিক কি না
* রাগ প্রকাশের ভঙ্গি স্বাভাবিক কিনা
* ভয় বা নিজের মধ্যে অতিরিক্ত গুটিয়ে থাকার প্রবণতা আছে কি না
এই বিষয়গুলো মা-বাবা অভিভাবকদের লক্ষ্য রাখতে হবে। যদি এই বিষয়গুলো স্বাভাবিক না থাকে তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
শিশুরা সহজে রোগাক্রান্ত হয়, তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কম তাই রোগে আক্রান্ত হওয়া মাত্র নির্ণিত ও চিকিৎসা করা গেলে তা সবদিক থেকেই মঙ্গলজনক।
সব শিশুর ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখুন
* বাচ্চার শারীরিক বৃদ্ধি, গড়ন, ওজন তার সমবয়সী বাচ্চার মতো কি না তা দেখতে হবে। কম হলে ডাক্তার দেখানো দরকার। মনে রাখতে হবে, যারা শুধু বুকের দুধ খায় তারা প্রথম তিন-চার মাস সমবয়সী কৌটার দুধ খাওয়া বাচ্চাদের তুলনায় বড় হয়। আবার ছয় থেকে ১২ মাস বয়সে তারা আকৃতিতে কৌটার দুধ খাওয়া বাচ্চাদের চেয়ে একটু ছোট হয়। এটাই স্বাভাবিক। তাই সামান্য ছোট-বড় বা ওজন কম-বেশি নিয়ে একটুও চিন্তার কারণ নেই।
* অনেক মা অভিযোগ করেন তার বাচ্চা খেতে চায় না। প্রকৃতপক্ষে বাচ্চার খেতে না চাওয়া আর মায়ের ভাষায় খেতে না চাওয়ার মধ্যে পার্থক্য আছে। যদি বাচ্চার ওজন বয়স অনুযায়ী ঠিক থাকে, সে ঠিকমতো খেলাধূলা করে, প্রাণবন্ত থাকে, প্রস্রাব পায়খানা ঠিকমতো করে তাহলে বুঝতে হবে তার খাওয়ার পরিমাণ ঠিক আছে। যদি এগুলোতে কোনো সমস্যা হয় তবে বুঝতে হবে কোনো সমস্যা হচ্ছে-_এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
* যদি শিশু খুব অস্থির ও বিরক্ত থাকে, প্রায়ই অনেকটা সময় কাঁদে, শিশুর ত্বক শুষ্ক ও চুল রুক্ষ হয়, জ্বর থাকে, খেলাধুলায় উৎসাহ বা শক্তি না থাকে, প্রস্রাব-পায়খানা অনিয়মিত হয়, পেট ফুলে যায় তবে ডাক্তার দেখান।
* বহু শিশুর শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমার সমস্যা থাকে। এটা বুঝতে খেয়াল রাখুন তার জ্বর আছে কিনা, দুধ খাওয়ার সময় বুকে ঘড়ঘড় শব্দ হচ্ছে কিনা, জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে কিনা, নিঃশ্বাসের সময় বুক ডেবে যাচ্ছে কিনা। এগুলোর উত্তর হ্যাঁ হলে দ্রুত ডাক্তার দেখান।
* অনেক সময় নিউমোনিয়া হলেও অ্যাজমার মতো কিছু লক্ষণ থাকে তাই শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে বা নিউমোনিয়া মনে হলে দেরি না করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
* ডায়রিয়া হলে বা পানিশূন্যতা দেখা দিলে ডাক্তার দেখাতে হবে। পানিশূন্যতা বুঝতে লক্ষ্য রাখুন চোখ গর্তে ঢুকে গেছে কি না, ত্বক শুষ্ক হয়ে গেছে কি না, বাচ্চা পানি খেতে অসুবিধা বোধ করছে কি না, বাচ্চা দুর্বল হয়ে পড়েছে কি না, বাচ্চার মাথার খুলির সামনের দিকে কিছু অংশ দেবে গেছে কি না। এ লক্ষণগুলো দেখামাত্র ডাক্তার দেখাতে হবে।
* বাচ্চার পায়খানার সঙ্গে রক্ত গেলে ডাক্তার দেখাতে হবে। আমাশয়, অ্যানাল ফিশার, পলিপ ইত্যাদি কারণে রক্ত যেতে পারে।
* অনেক মা অভিযোগ করেন তার বাচ্চা খেতে চায় না। প্রকৃতপক্ষে বাচ্চার খেতে না চাওয়া আর মায়ের ভাষায় খেতে না চাওয়ার মধ্যে পার্থক্য আছে। যদি বাচ্চার ওজন বয়স অনুযায়ী ঠিক থাকে, সে ঠিকমতো খেলাধূলা করে, প্রাণবন্ত থাকে, প্রস্রাব পায়খানা ঠিকমতো করে তাহলে বুঝতে হবে তার খাওয়ার পরিমাণ ঠিক আছে। যদি এগুলোতে কোনো সমস্যা হয় তবে বুঝতে হবে কোনো সমস্যা হচ্ছে-_এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
* যদি শিশু খুব অস্থির ও বিরক্ত থাকে, প্রায়ই অনেকটা সময় কাঁদে, শিশুর ত্বক শুষ্ক ও চুল রুক্ষ হয়, জ্বর থাকে, খেলাধুলায় উৎসাহ বা শক্তি না থাকে, প্রস্রাব-পায়খানা অনিয়মিত হয়, পেট ফুলে যায় তবে ডাক্তার দেখান।
* বহু শিশুর শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমার সমস্যা থাকে। এটা বুঝতে খেয়াল রাখুন তার জ্বর আছে কিনা, দুধ খাওয়ার সময় বুকে ঘড়ঘড় শব্দ হচ্ছে কিনা, জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে কিনা, নিঃশ্বাসের সময় বুক ডেবে যাচ্ছে কিনা। এগুলোর উত্তর হ্যাঁ হলে দ্রুত ডাক্তার দেখান।
* অনেক সময় নিউমোনিয়া হলেও অ্যাজমার মতো কিছু লক্ষণ থাকে তাই শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে বা নিউমোনিয়া মনে হলে দেরি না করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
* ডায়রিয়া হলে বা পানিশূন্যতা দেখা দিলে ডাক্তার দেখাতে হবে। পানিশূন্যতা বুঝতে লক্ষ্য রাখুন চোখ গর্তে ঢুকে গেছে কি না, ত্বক শুষ্ক হয়ে গেছে কি না, বাচ্চা পানি খেতে অসুবিধা বোধ করছে কি না, বাচ্চা দুর্বল হয়ে পড়েছে কি না, বাচ্চার মাথার খুলির সামনের দিকে কিছু অংশ দেবে গেছে কি না। এ লক্ষণগুলো দেখামাত্র ডাক্তার দেখাতে হবে।
* বাচ্চার পায়খানার সঙ্গে রক্ত গেলে ডাক্তার দেখাতে হবে। আমাশয়, অ্যানাল ফিশার, পলিপ ইত্যাদি কারণে রক্ত যেতে পারে।
মুখের ক্যান্সার প্রতিকার ও প্রতিরোধ
মুখ গহ্বর, ঠোঁট, জিহবা ও গলার শুরুর অংশের যেকোনো স্থানেই হতে পারে মুখের ক্যান্সার। দক্ষিণ
এশিয়ার অন্যান্য দেশের মতোই আমাদের দেশেও মুখের ক্যান্সার অকাল মৃত্যুর একটি অন্যতম কারণ। শরীরের সব ক্যান্সারের মধ্যে মুখের ক্যান্সার হওয়ার হার শতকরা ২০ ভাগ।
গবেষণা অনুযায়ী, প্রতিবছর ৩০ হাজার নতুন রোগী এ রোগে আক্রান্ত হয় এবং ১০ হাজার রোগী অকালে মৃত্যুবরণ করেন।
কেন হয় মুখের ক্যান্সার?
* পান, সুপারি, সাদা পাতা সেবন ও গুল ব্যবহার
* মদ্যপান
* সূর্যের তেজস্ক্রিয় রশ্মি (ঠোঁটের ক্যান্সার এর জন্য দায়ী )
* মুখে ভাঙা দাঁতের ঘর্ষণ
* অস্বাস্থ্যকর মুখগহ্বর
* পুষ্টি ঘাটতি
* সেলেনিয়াম, ভিটামিন- এ, সি, ই, আয়রণ, জিংক ইত্যাদির ঘাটতি
* জিনগত ও বংশগত কারণ
* গবেষণায় দেখা গেছে, মুখের ক্যান্সারে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের ভূমিকা রয়েছে।
ক্যান্সারের লক্ষণ
* মুখের যেকোনো অংশে লাল বা সাদা ঘা বা ক্ষত তিন সপ্তাহের স্থায়ী হলে
* খাবার গিলতে সমস্যা হলে
* মাঢ়িতে ঘা এবং হঠাৎ দাঁত নড়ে গেলে
তবে এসব লক্ষণ দেখা গেলেই যে ক্যান্সার হয়েছে তা ভাবার কারণ নেই। পরীক্ষা করে ক্যান্সার নিশ্চিত না হয়ে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসা ঠিক নয়।
ক্যান্সার পরীক্ষা
* ক্যান্সার নির্ণয়ের জন্য বায়োপসি (ক্ষত স্থান থেকে সামান্য মাংস নিয়ে পরীক্ষা করা) জরুরি। তবে কোনো ক্ষেত্রে এফএনএসি, সিটি স্ক্যান, এমআরআইয়ের প্রয়োজন হতে পারে।
* শরীরের অন্যান্য অঙ্গে ক্যান্সার ছড়িয়েছে কি না তা নির্ণয় করাও জরুরি। এ ক্ষেত্রে বুকের এঙ্-রে, বোন স্ক্যান, পেট স্ক্যান ইত্যাদি পরীক্ষা রয়েছে।
যা করতে হবে
যদি সন্দেহ হয় তবে মুখ চোয়াল রোগবিশেষজ্ঞের (ওরাল-ম্যাঙ্েিলাফেসিয়াল সার্জন) পরামর্শ নিতে হবে। এ ছাড়া যাঁদের বয়স ৪০ এর ওপর, ধূমপান ও তামাক জাতীয় দ্রব্য সেবনের অভ্যাস আছে বা ছিল, তাদের নিয়মিত (প্রতি ছয় মাস অন্তর) ক্যান্সারের স্ক্রিনিং করানো প্রয়োজন। মুখের ক্যান্সারের সঠিক চিকিৎসা না হলে গলা, ফুসফুস, কলিজা, পাকস্থলী, কিডনিসহ পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়বে। তাই দ্রুত ও সঠিক চিকিৎসা গ্রহণের বিকল্প নেই।
ক্যান্সারের চিকিৎসা
মুখের ক্যান্সারের চিকিৎসার প্রথম চিকিৎসা অপারেশন হলেও কেমোথেরাপিরও প্রয়োজন হয়। চিকিৎসার ধরন কি হবে তা নির্ভর করবে ক্যান্সারের বিস্তৃতি, রোগীর শারীরিক অবস্থার ওপর। ক্যান্সার আক্রান্ত টিস্যু শরীর থেকে সরিয়ে ফেলাই অপারেশনের মূল উদ্দেশ্য। অনেক ক্ষেত্রে অস্বাভাবিকভাবে বিস্তৃত ক্যান্সারের ক্ষেত্রে প্যালিয়েটিভ
সার্জারি করা হয়। এতে ক্যান্সার নির্মূল না হলেও রোগীর কষ্ট লাঘব হয়। অপারেশনের পাশাপাশি রেডিয়েশন থেরাপি ক্যান্সার ধ্বংস করতে সাহায্য করে। যদিও সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় বলা হয়েছে মুখের ক্যান্সারের প্রাথমিক ঘা নির্মূলে কেমোথেরাপির ভূমিকা খুব বেশি কার্যকর নয়। কিন্তু অপারেশন, রেডিওথেরাপির পাশাপাশি শরীরে ক্যান্সার বিস্তার রোধে এর ভূমিকা রয়েছে। ক্যান্সারের চিকিৎসাপদ্ধতি অনেক দীর্ঘ এবং ব্যয়বহুল। মৃত্যুর হারও বেশি। তাই প্রয়োজন সচেতন হওয়া, যাতে রোগটি হওয়ার আগেই ঠেকানো যায়। তাই ধূমপান, জর্দ্দা, পান, সুপারি, গুল ইত্যাদি ত্যাগ করুন, নিয়মিত মুখের পরিচর্যা করুন, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করুন, মুখের কোনো ঘা তিন সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হলে দ্রুত ওরাল- ম্যাক্সিলো ফেসিয়াল সার্জনের পরামর্শ নিন।
ডা. মোর্শেদ আসাদউল্যাহ তানভীর
ওরাল-ম্যাক্সিলো ফেসিয়াল সার্জন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
adorn.doms@gmail.com
এশিয়ার অন্যান্য দেশের মতোই আমাদের দেশেও মুখের ক্যান্সার অকাল মৃত্যুর একটি অন্যতম কারণ। শরীরের সব ক্যান্সারের মধ্যে মুখের ক্যান্সার হওয়ার হার শতকরা ২০ ভাগ।
গবেষণা অনুযায়ী, প্রতিবছর ৩০ হাজার নতুন রোগী এ রোগে আক্রান্ত হয় এবং ১০ হাজার রোগী অকালে মৃত্যুবরণ করেন।
কেন হয় মুখের ক্যান্সার?
* পান, সুপারি, সাদা পাতা সেবন ও গুল ব্যবহার
* মদ্যপান
* সূর্যের তেজস্ক্রিয় রশ্মি (ঠোঁটের ক্যান্সার এর জন্য দায়ী )
* মুখে ভাঙা দাঁতের ঘর্ষণ
* অস্বাস্থ্যকর মুখগহ্বর
* পুষ্টি ঘাটতি
* সেলেনিয়াম, ভিটামিন- এ, সি, ই, আয়রণ, জিংক ইত্যাদির ঘাটতি
* জিনগত ও বংশগত কারণ
* গবেষণায় দেখা গেছে, মুখের ক্যান্সারে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের ভূমিকা রয়েছে।
ক্যান্সারের লক্ষণ
* মুখের যেকোনো অংশে লাল বা সাদা ঘা বা ক্ষত তিন সপ্তাহের স্থায়ী হলে
* খাবার গিলতে সমস্যা হলে
* মাঢ়িতে ঘা এবং হঠাৎ দাঁত নড়ে গেলে
তবে এসব লক্ষণ দেখা গেলেই যে ক্যান্সার হয়েছে তা ভাবার কারণ নেই। পরীক্ষা করে ক্যান্সার নিশ্চিত না হয়ে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসা ঠিক নয়।
ক্যান্সার পরীক্ষা
* ক্যান্সার নির্ণয়ের জন্য বায়োপসি (ক্ষত স্থান থেকে সামান্য মাংস নিয়ে পরীক্ষা করা) জরুরি। তবে কোনো ক্ষেত্রে এফএনএসি, সিটি স্ক্যান, এমআরআইয়ের প্রয়োজন হতে পারে।
* শরীরের অন্যান্য অঙ্গে ক্যান্সার ছড়িয়েছে কি না তা নির্ণয় করাও জরুরি। এ ক্ষেত্রে বুকের এঙ্-রে, বোন স্ক্যান, পেট স্ক্যান ইত্যাদি পরীক্ষা রয়েছে।
যা করতে হবে
যদি সন্দেহ হয় তবে মুখ চোয়াল রোগবিশেষজ্ঞের (ওরাল-ম্যাঙ্েিলাফেসিয়াল সার্জন) পরামর্শ নিতে হবে। এ ছাড়া যাঁদের বয়স ৪০ এর ওপর, ধূমপান ও তামাক জাতীয় দ্রব্য সেবনের অভ্যাস আছে বা ছিল, তাদের নিয়মিত (প্রতি ছয় মাস অন্তর) ক্যান্সারের স্ক্রিনিং করানো প্রয়োজন। মুখের ক্যান্সারের সঠিক চিকিৎসা না হলে গলা, ফুসফুস, কলিজা, পাকস্থলী, কিডনিসহ পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়বে। তাই দ্রুত ও সঠিক চিকিৎসা গ্রহণের বিকল্প নেই।
ক্যান্সারের চিকিৎসা
মুখের ক্যান্সারের চিকিৎসার প্রথম চিকিৎসা অপারেশন হলেও কেমোথেরাপিরও প্রয়োজন হয়। চিকিৎসার ধরন কি হবে তা নির্ভর করবে ক্যান্সারের বিস্তৃতি, রোগীর শারীরিক অবস্থার ওপর। ক্যান্সার আক্রান্ত টিস্যু শরীর থেকে সরিয়ে ফেলাই অপারেশনের মূল উদ্দেশ্য। অনেক ক্ষেত্রে অস্বাভাবিকভাবে বিস্তৃত ক্যান্সারের ক্ষেত্রে প্যালিয়েটিভ
সার্জারি করা হয়। এতে ক্যান্সার নির্মূল না হলেও রোগীর কষ্ট লাঘব হয়। অপারেশনের পাশাপাশি রেডিয়েশন থেরাপি ক্যান্সার ধ্বংস করতে সাহায্য করে। যদিও সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় বলা হয়েছে মুখের ক্যান্সারের প্রাথমিক ঘা নির্মূলে কেমোথেরাপির ভূমিকা খুব বেশি কার্যকর নয়। কিন্তু অপারেশন, রেডিওথেরাপির পাশাপাশি শরীরে ক্যান্সার বিস্তার রোধে এর ভূমিকা রয়েছে। ক্যান্সারের চিকিৎসাপদ্ধতি অনেক দীর্ঘ এবং ব্যয়বহুল। মৃত্যুর হারও বেশি। তাই প্রয়োজন সচেতন হওয়া, যাতে রোগটি হওয়ার আগেই ঠেকানো যায়। তাই ধূমপান, জর্দ্দা, পান, সুপারি, গুল ইত্যাদি ত্যাগ করুন, নিয়মিত মুখের পরিচর্যা করুন, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করুন, মুখের কোনো ঘা তিন সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হলে দ্রুত ওরাল- ম্যাক্সিলো ফেসিয়াল সার্জনের পরামর্শ নিন।
ডা. মোর্শেদ আসাদউল্যাহ তানভীর
ওরাল-ম্যাক্সিলো ফেসিয়াল সার্জন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা
adorn.doms@gmail.com
m~Z&ª: দৈনিক কালেরকন্ঠ (07/05/2011)