আমাদের দেশে চাকরির পদের তুলনায় চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা দিন দিনই বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। ফলে প্রতিবছরই ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে শিক্ষিত বেকার জনগোষ্ঠীর সংখ্যা। বাস্তবতার নিরীক্ষে বাংলাদেশে প্রয়োজন বিশেষায়িত শিক্ষার। যার মাধ্যমে শিক্ষা সম্পন্ন করার পরপর কেউ যেন চাকরির পিছনে না ছুটে স্বনিভর্রতার সাথে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়ে উঠে। এরই ধারাবাহিকতায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় ডিপ্লোমা/ ডিগ্রী অর্জনের মাধ্যমে নিজেকে দক্ষ হোমিও চিকিৎসক রূপে ক্যারিয়ার শুরু করা সম্ভব। হোমিও চিকিৎসায় নিয়োজিত হলে এবং সফলভাবে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করতে সক্ষম হলে আপনার ক্যারিয়ার আজীবন সচল থাকবে কোন বিরতী ছাড়াই।
বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথির ২টি শিক্ষা কোর্স চালু আছে। শিক্ষা কোর্স গুলো
হলো-
বিএইচএমএস কোর্স ও ডিএইচএমএস কোর্স ।
বিএইচএমএস (ব্যাচেলর অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারি)
বিএইচএমএস (ব্যাচেলর অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারি)
বিএইচএমএস (ব্যাচেলর অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারি) ১৯৮৫-৮৬ সাল থেকে কার্যকর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএইচএমএস কোসের্র নিয়মাবলী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। B.H.M.S এর একাডেমিক ৫ বছরে মোট ৪টি Professional পরীক্ষা দিতে হয়।। সাফল্যের সঙ্গে ৬ বছর (ইন্টার্নিসহ) পড়াশোনা শেষ করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন-এর মাধ্যমে সার্টিফিকেট প্রদান করে থাকে।
কোর্সের মেয়াদ: একাডেমিক
শিক্ষা ৫বছর৷
ইন্টার্নশিপ: কোর্স শেষে ১ মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন হাসপাতালে ১বছর ইন্টার্নি করতে হয়।
ভর্তিতথ্য :
১. ভর্তিচ্ছুকে অবশ্যই বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।
১. ভর্তিচ্ছুকে অবশ্যই বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।
২.স্বীকৃতিপ্রাপ্ত যেকোনো শিক্ষা বোর্ড থেকে এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় বিজ্ঞান গ্রুপে উত্তীর্ণ হতে হবে।
৩.আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে কমপক্ষে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি /দাখিল এবং এইচ
এস সি/ আলিম পরীক্ষায় 7.00 পেতে হবে।
(বায়োলজি আবশ্যক)
৪. মোট আসন
সংখ্যা ৫০টি। একটি উপজাতীয় এবং একটি বিদেশীদের জন্য সংরক্ষিত।
সুবিধাসমূহ :- বর্তমানে ১৫টি সদর হাসপাতালে সরকারি নিয়োগপ্রাপ্ত B.H.M.S ডিগ্রিধারী প্রথম শ্রেণীর চিকিৎসকরা সেবা প্রদান করেছেন। আরো নিয়োগ প্রক্রিয়া শীঘ্রই সম্পন্ন হবে।
- দেশের প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল, জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার হিসাবে B.H.M.S চিকিৎসক নিয়োগের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
- ঢাকা সিটি কর্পোরেশন সহ দেশের অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনে B.H.M.S চিকিৎসকগণ নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে সেবা প্রদান করছেন।
- B.H.M.S ডিগ্রি অর্জনের পর দেশে ও বিদেশে উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করা যায়। যেমন : MD, MPH, PDHE, PGD, MBA, PHD, FF&DF, MHE, MPS, DMU.
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে B.H.M.S ডাক্তারগণ নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে চিকিৎসা সেবা প্রদান করছেন।
- BCS (সাধারণ) পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করা যায়।
ডিএইচএমএস (ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারি)
ডিএইচএমএস (ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারি) বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড, ঢাকা কতৃক নিয়ন্ত্রিত। এই কোর্সে দিবা ও নৈশ বিভাগের যেকোনো বিভাগে ভর্তি হওয়া যায়।
কোর্সের মেয়াদ: একাডেমিক
শিক্ষা 4বছর৷
ইন্টার্নশিপ: কোর্স শেষে ৬ মাস ইন্টার্নি করতে হয়। ভতির্র যোগ্যতা:
স্বীকৃতিপ্রাপ্ত যেকোনো শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি/সমমানের পরীক্ষায় (যেকোনো গ্রুপে) উত্তীর্ণ হতে হবে। উচ্চতর ডিগ্রীপ্রাপ্তদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
বাংলাদেশে অগনিত মানুষ রয়েছে যারা কেবলমাত্র হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করে থাকে। বিশেষ করে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা স্বল্পমূল্যে করা সম্ভব হবার কারণে এবং হোমিও ঔষধের মূল্যে অনেক কম হবার কারণে বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠী হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সেবার উপর নিভর্রশীল। যার ফলশ্রুতিতে এই পেশাতে নিয়োজিত চিকিৎসকদের ক্যারিয়ারে প্রতিষ্ঠা পেতে বেশিদিন প্রয়োজন হয় না।
হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজে শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে স্বল্প ব্যয়ে এবং স্বল্পসময়ে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক রূপে জনগণের চিকিৎসা প্রদান করা সম্ভব। সেই সাথে দেশের স্বাস্থ্যখাতে সরাসরি অবদান রাখার পাশাপাশি নিজের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা আনয়ন সম্ভব। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি ক্যারিয়ারে সফল হতে অনেকেই এখন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করছে। আপনি যদি এই পেশাতে ভব্যিষতে কাজ করতে চান তবে অবশ্যই দ্রুত সিদ্ধান- গ্রহণ করুন।
No comments:
Post a Comment