Search This Blog

Thursday, October 20, 2011

লবঙ্গের অনেক গুণ


লবঙ্গ সাধারণত রান্নার সময় অনেকে ফোড়নে ব্যবহার করেন৷ গরম মসলার মধ্যেও লবঙ্গ থাকে৷ তা রান্নার স্বাদ বাড়ায়৷ এছাড়া লবঙ্গের আরও বিশেষ কিছু গুণ আছে, যা আমাদের শরীরের ক্ষেত্রে ভীষণ ফলদায়ী৷ চলুন সেগুলো জেনে নিই৷

লবঙ্গ কফ-কাশি দূর করে৷

পানির পিপাসা পেলে বা বুকে অস্বস্তি হলে লবঙ্গ খাওয়া দরকার৷ তাতে পিপাসা মেটে৷ শরীরে ফুর্তি নিয়ে আসে৷

হজমে লবঙ্গ সহায়তা করে৷ খিদে বাড়ায়৷ পেটের কৃমি নাশ করে দেয়৷

লবঙ্গ পিষে মিশ্রি বা মধুর সঙ্গে খাওয়া ভীষণ ভালো৷ এতে রক্তে শ্বেত রক্তকণিকার পরিমাণ বাড়ায়৷

এটা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের কাজ করে৷ হাঁপানির মাত্রা কম করে৷

চন্দনের গুঁড়ার সঙ্গে লবঙ্গ পিষে লাগালে ত্বকের যে কোনো সমস্যা দূর হয়ে যায়৷

দাঁতের ক্ষেত্রে লবঙ্গ ভীষণ ভালো ওষুধ৷ দাঁতে ব্যথা হলে লবঙ্গ মুখে রাখুন, কমে যাবে৷

মুখে দুর্গন্ধ দূর করে লবঙ্গ৷

-
মুখে ছালা হলে পানের মতো পেয়ারা পাতা চিবিয়ে খান, ছালা কমে যাবে৷

 source: amardesh

Thursday, October 13, 2011

হোমিও চিকিৎসাপেশায় ক্যারিয়ার বিকাশ

চিকিসাবিজ্ঞানের জনক হিপোক্রেটিস মানবদেহের চিকিসার জন্য ২টি চিকিসাপদ্ধতির কথা বলেছেন যার একটি বিসদৃশ তথা এলোপ্যাথিক চিকিসা এবং অপরটি সদৃশ তথা হোমিওপ্যথিক চিকিসা পদ্ধতি। কিন্তু চিকিসা বিজ্ঞানী ক্রিশ্চিয়ান ফ্রেডরিক স্যামূয়েল হ্যানিম্যান ১৭৯০ সালে দীর্ঘ পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করলেন সদৃশ চিকিসা পদ্ধতিই হতে পারে আরোগ্যের আদর্শ পদ্ধতি। তিনি এর নাম দিলেন হোমিওপ্যাথি। রোগ নয় রোগীর সার্বিক দৈহিক এবং মানসিক লক্ষণই যেখানে মূখ্য। তারপর থেকে শুরু হয় এ পদ্ধতির ক্রমবিকাশ জার্মানী থেকে পুরো বিশ্বে বিস্তার লাভ এবং প্রচুর গবেষণা। যারই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৬ সালে হোমিওপ্যাথিকে ‘‘একটি বিজ্ঞানভিত্তিক চিকিসা পদ্ধতি’’ আবিষ্কারের জন্য সুইডিশ পার্লামেন্ট গ্রিসের বিশ্ববিখ্যাত বিজ্ঞানী ডাঃ জর্জ ভিথোলকাসকে বিকল্প নোবেল পুরস্কার প্রদান করে।

বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথির অবস্থান : পাকিস্তান আমলে ১৯৬৫ সালৈ সরকারিভাবে হোমিওপ্যাথি বোর্ড গঠনের মাধ্যমে হোমিওপ্যাথিক শিক্ষাব্যবস্থাকে একটি কাঠামোর আওতায় নিয়ে আসা হয়। ১৯৮০ এর দশকের শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পাঁচ বছরের গ্রাজুয়েশন কোর্স প্রবর্তন করা হয়। সরকারিভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। ১৯৮৩ সালে হোমিওপ্যাথিক অধ্যাদেশ জরির মাধ্যমে হোমিওপ্যাথিক বোর্ড গঠন করে হোমিওপ্যাথিক চিকিসা ও শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও সুগঠিত করা হয়। তাছাড়া স্বাস্থ্য সার্ভিসের মহাপরিচালকের অধিদপ্তরে একটি হোমিওপ্যাথিক ও দেশজ চিকিসার পরিচালকের দপ্তর সৃষ্টি করা হয়।
বর্তমানে দেশে একটি সরকারি সহ তিনটি ডিগ্রি হোমিওপ্যাথিক কলেজ ও ৩৮টি ডিপ্লোমা কলেজ প্রতিষ্ঠিত আছে। প্রায় এক হাজার ব্যাচেলর ডিগ্রিধারী এবং বহু সহস্র ডিপ্লোমা ডিগ্রিধারী হোমিওপ্যাথিক চিকিসক রয়েছেন। এদের মধ্যে ১৫ জন গ্রাজুয়েট হোমিওপ্যাথ বিগত ২০০০ সালে জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রমে জেলা সদর হাসপাতালে হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল অফিসার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং বর্তমানে অনেক চিকিসক পদ সৃষ্টি করে (জি ও) নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন হচ্ছে।

ডিএইচএমএস (ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারি)


ডিএইচএমএস (ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারি) বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড, ঢাকা কতৃক নিয়ন্ত্রিত। এই কোর্সে দিবা নৈশ বিভাগের যেকোনো বিভাগে ভর্তি হওয়া যায়।


কোর্সের মেয়াদ: একাডেমিক শিক্ষা 4বছর৷

ইন্টার্নশিপ: কোর্স শেষে মাস ইন্টার্নি করতে হয়।

ভতির্র যোগ্যতা:
স্বীকৃতিপ্রাপ্ত
যেকোনো শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি/সমমানের পরীক্ষায় (যেকোনো গ্রুপে) উত্তীর্ণ হতে হবে। উচ্চতর ডিগ্রীপ্রাপ্তদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথির শিক্ষা কোর্স


আমাদের দেশে চাকরির পদের তুলনায় চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা দিন দিনই বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। ফলে প্রতিবছরই ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে শিক্ষিত বেকার জনগোষ্ঠীর সংখ্যা। বাস্তবতার নিরীক্ষে বাংলাদেশে প্রয়োজন বিশেষায়িত শিক্ষার। যার মাধ্যমে শিক্ষা সম্পন্ন করার পরপর কেউ যেন চাকরির পিছনে না ছুটে স্বনিভর্রতার সাথে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়ে উঠে। এরই ধারাবাহিকতায় হোমিওপ্যাথিক চিকিসায় ডিপ্লোমা/ ডিগ্রী অর্জনের মাধ্যমে নিজেকে দক্ষ হোমিও চিকিসক রূপে ক্যারিয়ার শুরু করা সম্ভব। হোমিও চিকিসায় নিয়োজিত হলে এবং সফলভাবে চিকিসা কার্যক্রম পরিচালনা করতে সক্ষম হলে আপনার ক্যারিয়ার আজীবন সচল থাকবে কোন বিরতী ছাড়াই।
বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথি২টি শিক্ষা কোর্স চালু আছে। শিক্ষা কোর্স  গুলো হলো- বিএইচএমএস কোর্স ডিএইচএমএস কোর্স


বিএইচএমএস (ব্যাচেলর অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারি)




বিএইচএমএস (ব্যাচেলর অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারি)

বিএইচএমএস (ব্যাচেলর অব হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারি) ১৯৮৫-৮৬ সাল থেকে কার্যকর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএইচএমএস কোসের্র নিয়মাবলী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। B.H.M.S এর একাডেমিক ৫ বছরে মোট ৪টি Professional পরীক্ষা দিতে হয়।। সাফল্যের সঙ্গে ৬ বছর (ইন্টার্নিসহ) পড়াশোনা শেষ করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন-এর মাধ্যমে সার্টিফিকেট প্রদান করে থাকে।

কোর্সের মেয়াদ: একাডেমিক শিক্ষা ৫বছর৷

ইন্টার্নশিপ: কোর্স শেষে মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন হাসপাতালে ১বছর ইন্টার্নি করতে হয়।


ভর্তিতথ্য :
১. ভর্তিচ্ছুকে অবশ্যই বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।

২.স্বীকৃতিপ্রাপ্ত যেকোনো শিক্ষা বোর্ড থেকে এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় বিজ্ঞান গ্রুপে উত্তীর্ণ হতে হবে।

৩.আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে কমপক্ষে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি /দাখিল এবং এইচ এস সি/ আলিম পরীক্ষায় 7.00 পেতে হবে। (বায়োলজি আবশ্যক)

৪. মোট আসন সংখ্যা ৫০টি। একটি উপজাতীয় এবং একটি বিদেশীদের জন্য সংরক্ষিত।

সুবিধাসমূহ :

  • বর্তমানে ১৫টি সদর হাসপাতালে সরকারি নিয়োগপ্রাপ্ত B.H.M.S ডিগ্রিধারী প্রথম শ্রেণীর চিকিসকরা সেবা প্রদান করেছেন। আরো নিয়োগ প্রক্রিয়া শীঘ্রই সম্পন্ন হবে।
  • দেশের প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল, জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার হিসাবে B.H.M.S চিকিসক নিয়োগের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
  • ঢাকা সিটি কর্পোরেশন সহ দেশের অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনে B.H.M.S চিকিসকগণ নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে সেবা প্রদান করছেন।
  • B.H.M.S ডিগ্রি অর্জনের পর দেশে ও বিদেশে উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করা যায়। যেমন : MD, MPH, PDHE, PGD, MBA, PHD, FF&DF, MHE, MPS, DMU.
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে B.H.M.S ডাক্তারগণ নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে চিকিসা সেবা প্রদান করছেন।
  • BCS (সাধারণ) পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করা যায়।




ডিএইচএমএস (ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারি)


ডিএইচএমএস
(ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন এন্ড সার্জারি) বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি বোর্ড, ঢাকা কতৃক নিয়ন্ত্রিত। এই কোর্সে দিবা নৈশ বিভাগের যেকোনো বিভাগে ভর্তি হওয়া যায়।
কোর্সের মেয়াদ: একাডেমিক শিক্ষা 4বছর৷
ইন্টার্নশিপ: কোর্স শেষে মাস ইন্টার্নি করতে হয়।

ভতির্র যোগ্যতা:
স্বীকৃতিপ্রাপ্ত
যেকোনো শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি/সমমানের পরীক্ষায় (যেকোনো গ্রুপে) উত্তীর্ণ হতে হবে। উচ্চতর ডিগ্রীপ্রাপ্তদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
 
বাংলাদেশে অগনিত মানুষ রয়েছে যারা কেবলমাত্র হোমিওপ্যাথিক চিকিসা সেবা গ্রহণ করে থাকে। বিশেষ করে হোমিওপ্যাথি চিকিসা স্বল্পমূল্যে করা সম্ভব হবার কারণে এবং হোমিও ঔষধের মূল্যে অনেক কম হবার কারণে বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠী হোমিওপ্যাথিক চিকিসা সেবার উপর নিভর্রশীল। যার ফলশ্রুতিতে এই পেশাতে নিয়োজিত চিকিসকদের ক্যারিয়ারে প্রতিষ্ঠা পেতে বেশিদিন প্রয়োজন হয় না।
হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজে শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে স্বল্প ব্যয়ে এবং স্বল্পসময়ে হোমিওপ্যাথিক চিকিসক রূপে জনগণের চিকিসা প্রদান করা সম্ভব। সেই সাথে দেশের স্বাস্থ্যখাতে সরাসরি অবদান রাখার পাশাপাশি নিজের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা আনয়ন সম্ভব। হোমিওপ্যাথিক চিকিসক হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি ক্যারিয়ারে সফল হতে অনেকেই এখন হোমিওপ্যাথিক চিকিসক হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করছে। আপনি যদি এই পেশাতে ভব্যিষতে কাজ করতে চান তবে অবশ্যই দ্রুত সিদ্ধান- গ্রহণ করুন